গৃহকর্মীকে ধর্ষণের দায়ে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন একটি বিশেষ আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
শনিবার (২ আগস্ট) বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালতের বিচারক সন্তোষ গজানন ভাটের সভাপতিত্বে গঠিত এমপি-এমএলএ’দের জন্য গঠিত বিশেষ আদালত এই রায় দেন। তবে প্রজ্বল রেভান্না এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৪ বছর বয়সী রেভান্না কর্ণাটকের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। ২০২৩ সালে শত শত আপত্তিকর ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সামনে আসে। এসব ভিডিও দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগী নারী ৩৪ বছর বয়সী সাবেক সংসদ সদস্য প্রজ্বলের পরিবারের মালিকানাধীন একটি ফার্ম হাউস বা অবকাশযাপন কেন্দ্রে গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ করতেন। ২০২৪ সালে কর্ণাটকের হাসান জেলায় প্রজ্বলের বিরুদ্ধে চারটি ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলা হয়। বাকি তিনটি মামলার বিচারও চলমান।
তবে রেভান্নার পরিবারের অভিযোগ, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এসবের পেছনে রাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল কংগ্রেসের হাত রয়েছে। যৌন নিপীড়নের একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিতর্কের জেরেই সবশেষ লোকসভা নির্বাচনে হাসান আসনে হেরে যান প্রজ্বল।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৩১ মে থেকে কারাগারে রয়েছেন প্রজ্বল। জার্মানি থেকে ফেরার সময় ওই দিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক নারীর ওপর যৌন নিপীড়নের ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর তিনি ইউরোপে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জনতা দল (সেক্যুলার) বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির মিত্র হিসেবে রয়েছে। ভারতের মতো দেশে এত প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের কারও এভাবে সাজা পাওয়ার ঘটনা বিরল।