গুম-হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাহিনীর বিলুপ্তি বা পুনর্গঠনসহ ১১ দাবি মায়ের ডাকের

0
22
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

যেসব নিরাপত্তা বাহিনী বারবার গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের বিলুপ্তি অথবা পুনর্গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম ও খুনের শিকার পরিবারগুলোর সংগঠন ‘মায়ের ডাক’। ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম দিবসকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এসব দাবি জানানো হয়।

আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবিগুলো উত্থাপন করেন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম তুলি।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে গুমের সব রিপোর্টকৃত ঘটনার নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু করা; গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে একটি জাতীয় কার্যপ্রক্রিয়া গঠন; গুম ও নির্যাতন থেকে বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও আইনি হয়রানি বন্ধ করা; গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবার যেন নিখোঁজ আত্মীয়ের আর্থিক ও সম্পত্তিগত বিষয়াদি পরিচালনায় আইনি অধিকার পায়, তা নিশ্চিত করা; গুম থেকে বেঁচে ফেরা ও তাঁদের পরিবারের জন্য একটি জাতীয় সুরক্ষা কাঠামো প্রণয়ন; সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার রোধে অবিলম্বে সংস্কার আনা; গুমবিরোধী যেকোনো প্রস্তাবিত আইনকে আন্তর্জাতিক কনভেশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা এবং আনুষ্ঠানিক কনভেনশনটি অনুসমর্থন করা।

‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখছেন গুম–খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে
‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখছেন গুম–খুনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা। আজ শুক্রবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত প্রতিটি গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয় সামনে আনার ঘোষণা দেন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা সত্যকে সামনে আনব, যে সত্যগুলোকে এখনো পর্যন্ত বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিষ্কার বলে দিতে চাই, ওই বাউন্ডারিকে, ওই ব্যারাককে, ওই সেনানিবাসকে আমরা ভয় পাই না।’

সানজিদা ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সমন্বয়ক মঞ্জুর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমানসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে ‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.