গুজবে কান দেবেন না, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

0
110
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ‘কোনো প্রকার গুজবে কান দেবেন না। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করবো। গত কয়েকটি নির্বাচনে তার প্রমাণ দিয়েছি। প্রত্যেকটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হয়েছে।’

রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

জনগণকে সরকারের শক্তি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করবো কুচক্রী মহল যারা দেশের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা (জনগণ) রুখে দাঁড়াবেন। আপনারা বারবার প্রমাণ করেছেন, দেশ কোনো বিদেশি শক্তির কাছে পরাজিত হননি। এবারও সরকারের সঙ্গে এক হয়ে বিদেশিদের সব ধরণের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো।’

গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা ধরে রাখার জন্য রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিচ্ছে, যাতে করে কোনো ধরনের উন্মাদনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং আর্থ সামাজিক অস্থিতিশীলতার কারণে রাষ্ট্রীয় এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত না হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে বহু উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।

দেশবাসীর উদ্দেশে মোমেন বলেন, দেশের অমঙ্গল ডেকে আনবেন না। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। কোনো দুষ্টু লোকের বাংলাদেশের সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকতে পারে। সরকারের প্রতি বিদ্বেষ থাকার কারণে তারা দেশ ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমি তাদের বন্ধুদের বলবো, সাবধান। দেশ ধ্বংস করলে আপনারও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সরকার গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও দক্ষ হতে হবে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অনেক সময় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মেয়াদ দীর্ঘায়িত হয়। এতে করে প্রকল্পের ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের ব্যয়ও বাড়ে। তাই প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মাঝে শেষ করার জন্য আরও বেশি তদারকি প্রয়োজন।

বাজেট আয় ও করদাতা বাড়ানোর জন্য দুটি প্রস্তাব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর প্রথমটি হল- যেসব বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, তারা প্রত্যেকে যেন ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করে। দ্বিতীয়ত যারা ২৫ হাজার টাকার উর্ধ্বে লেনদেন করে তারা যেন ব্যাংক বা চেকের মাধ্যমে লেনদেন করেন। তাহলে সরকারের হিসাব থাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.