গাজীপুরে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ, চলছে ধীর গতিতে

0
24
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। আজ বৃহস্পতিবার নয়টার দিকে

গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। এতে বাসস্টপেজগুলোয় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয় দিকে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষ।

রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে রংপুরে যাচ্ছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আমির হোসেন। সকাল ৯টায় চন্দ্রা এলাকায় তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত আসতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু কোনাবাড়ী থেকে চন্দ্রা আসতে সময় লেগেছে আড়াই ঘণ্টা। এর মধ্যে কোথাও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়নি।

কারখানাশ্রমিক হালিম মোল্লা বলেন, গাজীপুরের সফিপুর থেকে চন্দ্রা যেতেই সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কোনো অবস্থাতেই যেন গাড়ি এগোচ্ছে না। যানবাহনের গতিও অনেক কম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি হওয়ার পর বিকেলে যানবাহনের চাপ বাড়বে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে কাজ করছেন চার হাজার পুলিশ সদস্য। আছেন সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয় দিকে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। আজ বৃহস্পতিবার নয়টার দিকে
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার উভয় দিকে অন্তত ১২ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। আজ বৃহস্পতিবার নয়টার দিকে

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবার তিন পর্বে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে। গত মঙ্গলবার ১০ শতাংশ, গতকাল বুধবার ৪০ শতাংশ এবং বৃহস্পতিবার ৫০ শতাংশ কারখানায় ঈদের ছুটি হচ্ছে। বেশির ভাগ কারখানাই নিজেদের পরিবহনব্যবস্থা রেখেছে। যাদের গাড়ির ব্যবস্থা নেই, তারা দীর্ঘ সময় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করে পর্যাপ্ত যানবাহন না পেয়ে খোলা ট্রাক, বাসের ছাদ, পিকআপ বা অন্য ছোট যানবাহনে করে ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন। এই সুযোগে পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অন্যবারের মতোই অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনা ও বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.