গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। ইসরায়েলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার হওয়া এ বৈঠকে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
বৈঠকে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলেও এখনো আলোচনায় অনেক ‘ফাঁক’ থেকে গেছে।
ওই বৈঠকে সিআইএ প্রধান নিজে উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে গাজায় সংঘর্ষ-বিরতি করা যায় তা নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। বৈঠক চলাকালীন কোনো কোনো সংবাদসংস্থা জানায়, আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে। একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে সবপক্ষ। যেখানে ইসরায়েলের দাবি অন্তত ১০০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। তার বদলে তারা দুইমাসের সংঘর্ষ-বিরতিতে রাজি হবে।
এরপর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়, আলোচনায় অগ্রগতি হলেও অনেক ফাঁক আছে। চলতি সপ্তাহে আবার বৈঠক হবে। আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টকেও খারিজ করা হয়নি। অর্থাৎ, সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের বিক্ষোভকারীদের অবরোধ
গাজায় সাহায্য নিয়ে যে ট্রাক ঢুকছে রোববার সেই ট্রাক আটকে দেয় ইসরায়েলের বিক্ষোভকারীরা। রাস্তা অবরোধ করে তারা ট্রাক আটকে দেয়। অন্তত ১০০ জন বিক্ষোভকারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইসরায়েলের সেনা অবশ্য জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সীমান্তে অবস্থিত ওই এলাকাটি সেনা-এলাকা বলে চিহ্নিত হয়েছে। সাধারণ মানুষের সেখানে প্রবেশ নিষেধ। তারপরেও কয়েকশ মানুষ সেখানে দাঁড়িয়ে কীভাবে বিক্ষোভ দেখালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিন যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন হামাস যাদের পণবন্দি করেছে তাদের আত্মীয়। তাদের বক্তব্য, হামাস বন্দিদের মুক্তি না দিলে তারাও সাহায্যের ট্রাক গাজায় ঢুকতে দেবেন না।
যুক্তরাজ্যের জাহাজে ড্রোন হামলা
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, শনিবার লোহিত সাগরে তাদের জাহাজ লক্ষ্য করে হুতিরা একটি ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছিল। ড্রোনটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। সি ওয়াইপার মিসাইলের সাহায্যে ওই ড্রোনটি ধ্বংস করা হয় বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন। জাহাজ এবং তার কর্মীদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।