গাজা থেকে ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

0
18
১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

গাজা থেকে প্রায় ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে ৫টিকে সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে বলেও জানায় ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় আলজাজিরা।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশ কয়েকটি এলাকায় পতন চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সৈন্যদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিরোধ করা ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো আশকেলন এবং গ্যান ইয়াভনে পড়েছে, যার ফলে কিছু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন।

বর্তমানে ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তার এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডসের দাবি, তারা ইসরায়েলের উপকূলীয় একটি শহরে হামলা চালিয়েছে।

কাসসাম ব্রিগেড জানায়, তারা ইসরায়েলের আশদোদ শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে। এই হামলা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। সঙ্গে সেখানে এক মাস ধরে পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে রেখেছে দখলদাররা। এতে সেখানকার পরিস্থিতি ‘দমবন্ধকর’ হয়ে পড়েছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫০ হাজার ৬০৯ জন এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.