গাইবান্ধায় পুলিশ-প্রশাসন নিরপেক্ষ ছিল, নির্বাচন সফল: সিইসি

0
137
সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

গাইবান্ধা-৫ আসনের (সাঘাটা-ফুলছড়ি) উপনির্বাচনের পুনভোটে কোনো ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা না থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসন, পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন বলে জানান তিনি। আজ বুধবার ভোট শেষে নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন সিইসি।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলে। প্রায় তিন মাস আগে সিসি ক্যামেরায় ভোটের অনিয়ম দেখে মাঝপথে সব কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি।

আজকের পুনভোটের কনকনে শীতের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম হলেও প্রার্থী, ভোটার, নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসা করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘এবারের ভোটের শুরুতেও পরিবেশ সুন্দর ছিল, সমাপ্তিটাও চমৎকার হয়েছে। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খলভাবে সুন্দর ভোট হয়েছে। সে দিক থেকে নির্বাচনটা সফল হয়েছে। ভোটে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ যেমন পাওয়া যায়নি, তেমনি ভোট দিতে কারও অসুবিধা বা ধীরগতির অভিযোগ আসেনি।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইভিএমে ধীরগতি ছিল না, কোনো অভিযোগও উত্থাপিত হয়নি। ভোট সাড়ে ৪টায় শেষে হয়েছে, সব কিছু গুছাচ্ছে দেখেছি। অপেক্ষমান কেউ না থাকায় ভোট নিতে এখানে দেরিও হবে না আর। ভোটার উপস্থিতি গড়ে ৩৫ শতাংশের কম বেশি হতে পারে। চূড়ান্তভাবে পরে জানা যাবে।’

সিইসি বলেন, ‘ইভিএমে ভোট হওয়ার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা থাকায় স্বচ্ছ নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কমিশন।’

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইলেকটোরাল গভার্নেন্স ও সিসি ক্যামেরা একটা নতুন সংযোজন। সিসি অনেক তীক্ষ্ণ ও কার্যকর হচ্ছে। ভোটেকেন্দ্রের অনিয়ম হলে সচেতন থাকে সবাই, কেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটে সিসি ক্যামেরা ইতিবাচক। আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা রাখা হবে কিনা এখনও সে সিদ্ধান্তে উপনীত হই নি আমরা।’

গাইবান্ধায় প্রশাসনের ভূমিকার প্রশংসাও করেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘মাঠে প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর আমাদের নজজরদারি থাকবে। আপনারা দেখেছেন, জেলা প্রশাসন পুলিশ ও আমাদের কর্মকর্তারা পেশাদারিত্ব দেখিয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কাজ করে দেখিয়েছেন। এখানে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এটা আমাদের সক্ষমতা, জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সমৃদ্ধ করবে।’

এ আসনের উপনির্বাচনে ভোটে অনিয়মে দায়ীদের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। সে বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া এখনও কোনো উত্তর পাইনি। ফলোআপ করবে আমরা। চিঠি পেতেই সময় লাগে। দুই তিন মাস ওয়েট করতে পারেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.