টিলি কিপারের বাবা ছিলেন বিবিসির জনপ্রিয় পাপেট শো ‘স্পিটিং ইমেজ’-এর অন্যতম লেখক। ফলে বিনোদন–দুনিয়ার সঙ্গে আগেই একটা যোগ ছিল তাঁর; ছোটবেলা থেকেই তিনি টিভি ও মঞ্চে কাজ করেছেন। অভিনয়ে আসা প্রসঙ্গে টিলি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে নাচ–গান সবই করতাম। শুরুটা করেছিলাম ব্যালে দিয়ে। পরে অনেক ভেবে অভিনয় করব বলে ঠিক করি। এরপরই অভিনয়ের স্কুলে ভর্তি হই।’
পড়াশোনা শেষে ২০১৬ সালে টিভিতে তাঁর ক্যারিয়ার শুরু। পরিচিতি পান বিবিসির সোপ অপেরা ইস্টএন্ডার্স দিয়ে। সিরিজটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পুরস্কারে মনোনীতও হয়েছিলেন। এরপর তিনি কয়েকটি সিরিজ করেছেন, তাঁকে দেখা গেছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেও। তবে নেটফ্লিক্সের সিরিজ ইউ–এর চতুর্থ কিস্তি মুক্তির পর তাঁর পরিচিতি যেন রাতারাতি বেড়ে গেছে
‘ইউ’–এ লেডি ফোবে চরিত্রে অভিনয় করেছেন টিলি কিপার। যে ‘গসিপ গার্ল’ দেখে বড় হয়েছেন, কাকতালীয়ভাবে এই সিরিজের সঙ্গে সেই সিরিজের যোগ আছে। কারণ, ‘ইউ’-এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘গসিপ গার্ল’ অভিনেতা পেন ব্যাজলি। এ প্রসঙ্গে টিলি বলেন, ‘যে সিরিজ দেখে কৈশোর কেটেছে, সেই সিরিজের অভিনেতার সঙ্গে কাজ করলাম, এটা একেবারেই অসম্ভব একটা ব্যাপার।’ সিরিজে টিলির চরিত্রটি লন্ডনের এক তরুণীর। এ প্রসঙ্গে ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী বলেন, ‘লেডি ফোবে সমাজের উচ্চশ্রেণির প্রতিনিধি, যার পয়সার অভাব নেই। চরিত্রটি দারুণ, সেটিকে নিজের মতো করে ফুটিয়ে তুলেছি।’ সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী আরও জানান, ইউ-এ তাঁর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে লিন্ডসে লোহানকে প্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন।
ভক্তরা ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন টিলি কিপারকে, ইনস্টাগ্রামে অনুসারীর সংখ্যাও বেড়েছে তাঁর। ইউ-এর চতুর্থ সিজন দুই কিস্তিতে মুক্তি পাচ্ছে। প্রথমটি পেয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি, পরেরটি আসবে আগামী ৯ মার্চ।