গরমে টেস্ট বিরতি বাড়ানো সম্ভব

0
157
টেস্ট সামনে রেখে অনুশীলন।

বাংলাদেশে তাপদাহ চলছে মে মাস থেকেই। জুনে গরমের তীব্রতা আরও বেড়েছে। এই গরমে পাঁচ দিন টেস্ট খেলা দুরূহ ব্যাপার। তবুও নিয়ম মেনে লিটন কুমার দাসদের খেলতে হবে একটি টেস্ট। ১৪ থেকে ১৮ জুন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি।

ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত দিক চিন্তা করে আসন্ন টেস্টে বিরতি বাড়ানোর পক্ষে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের চার দিনের ম্যাচে বিরতি বাড়ানো হয়েছিল বলেও জানান তিনি। টেস্টেও বিরতি বাড়ানো সম্ভব বলে জানান আইসিসির ইমার্জিং আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। দু’দল রাজি থাকলে ম্যাচ রেফারির সঙ্গে আলোচনা করে নিয়মটি কার্যকর করতে পারবেন আম্পায়াররা।

ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা চাইব বিরতির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। অথবা কোনো ক্রিকেটার যখনই পানি বা ছায়ার জন্য ডাকবে, ওদের জন্য এই ছাড়টা যেন দেওয়া হয়। ডা. দেবাশীষ চৌধুরী, বিসিবির চিকিৎসক

প্রচণ্ড গরমে মিরপুরে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা। একটু কসরত করেই হাঁপিয়ে উঠছেন তাঁরা। এই তাপদাহে দিনে ছয় ঘণ্টা মাঠে থাকা কঠিন মনে করছেন দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে যে সিরিজটি ছিল, দু’দলের সম্মতির ভিত্তিতে আমরা বিরতির সংখ্যা বাড়িয়েছিলাম। টেস্ট ম্যাচেও এমন হবে কিনা, সেটি ম্যাচ রেফারি অথবা দলের সঙ্গে কথা বলে একটা ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা চাইব বিরতির সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। অথবা কোনো ক্রিকেটার যখনই পানি বা ছায়ার জন্য ডাকবে, ওদের জন্য এই ছাড়টা যেন দেওয়া হয়।”

টেস্টে প্রতিদিন তিন সেশনে ছয় ঘণ্টা খেলা হয়। দিনে ৯০ ওভার বোলিং করতে হয় ফিল্ডিং দলকে। কোনো কারণে ওভার কম হলে পরের দিন কাভার করতে হয়। প্রতি সেশনে এক ঘণ্টা অন্তর পানি পানের বিরতি থাকে। এক সেশনে এই বিরতি দু’বার দেওয়া সম্ভব বলে জানান সৈকত। তিনি বলেন, ‘আলো, বৃষ্টি বা গরমের সমস্যা থাকলে আম্পায়াররা কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দুই দলের সম্মতি থাকলে ঢাকা টেস্টে বিরতি বাড়াতে পারবেন আম্পায়াররা। সেক্ষেত্রে সময়ের একটি স্লট করে নিতে হবে। যাতে করে ছয় ঘণ্টায় পুরো ৯০ ওভার খেলা হয়। কারণ আম্পায়াররা দিনে মাত্র ৩০ মিনিট বেশি খেলাতে পারেন। এর বেশি যেতে পারবে না।’

বিসিবির ক্যাম্পে ক্রিকেটাররা।

সকাল ১০টায় শুরু হলে খেলা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কোনো কারণে ৯০ ওভার শেষ করা না গেলে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খেলাতে পারবেন আম্পায়াররা। পানি পানের অতিরিক্ত তিনটি বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে ১২ মিনিট কাটা পড়বে। নিয়মিত তিন বিরতিতে কাটা পড়ে আরও ১২ মিনিট। ছয় বিরতিতে প্রায় আধা ঘণ্টা চলে যাবে। যেটা দিনে ৯০ ওভার শেষ করতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। সৈকত জানান, এসব দিক মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ম্যাচ অফিসিয়ালদের। বিশেষ করে দিনের খেলার সময় কিছুতেই নষ্ট করতে চাইবেন না তাঁরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.