খুলনা নগরের প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলো মোড়ের সোনালী ব্যাংক চত্বরে ১৭ জুলাই ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করবে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। তারুণ্যের সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে খুলনা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। খুলনা ছাড়াও বিভাগের অন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চলছে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার রাতে খুলনা জেলা আইনজীবী মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে সভা করেছে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুই থেকে তিন দিনের নোটিশে ১২ জুলাই ঢাকায় সমাবেশ থেকে অবৈধ সরকারের বিদায়ের দাবিতে এক দফা আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। চূড়ান্ত খেলা শুরু হয়ে গেছে। চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা আর মার খাবে না। যেখানেই বাধা আসবে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেখানেই শাসক দলের সন্ত্রাসীরা রক্ত ঝরাবে, সেই স্পটেই প্রতিশোধ নিতে হবে।
খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’—স্লোগানে ইতিমধ্যে চারটি তারুণ্যের সমাবেশ শেষ হয়েছে। ১৭ জুলাই খুলনায় পঞ্চম সমাবেশ হবে। আর ২২ জুলাই ঢাকার শেষ সমাবেশ থেকে অবৈধ সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হবে। সব বাধাবিপত্তি, হুমকি, অপপ্রচার, গুজব, আতঙ্ক, প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে যেকোনো মূল্যে ১৭ জুলাই খুলনায় বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ সফল করতে হবে।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এস এম মনিরুল হাসান, বিএনপি নেতা আবু হোসেন, স ম আ রহমান, সাইফুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান, নুরুল হাসান, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মো. রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সকালে নগরের কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে জেলা কৃষক দল এবং সন্ধ্যায় সদর থানা বিএনপি ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে।
নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমাবেশকে সফল করতে কাজ করছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সবাই। মহানগর ও জেলা ছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গণসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও লিফলেট বিতরণ করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এক দফার আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে।