খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন নারী তনিমা ওরফে তন্বীকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে তাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর হোসেন।
তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। আটক নারীকে সিনিয়র অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই ও প্রয়োজনীয় আইনগত করণীয় শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শ্রমিক সংগঠন শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির আহ্বায়ক মোতালেব শিকদার (৪২) রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৯-১০ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট স্বাভাবিক ও আশঙ্কামুক্ত।
আহত মোতালেব সোনাডাঙ্গা শেখপাড়া পল্লীমঙ্গল স্কুল এলাকার মৃত মোসলেম শিকদারের ছেলে। অন্যদিকে, সন্দেহভাজন নারী তনিমা ওরফে তন্বী যুবশক্তির নেত্রী। গত ৪ অক্টোবর জাতীয় যুবশক্তির খুলনা জেলা কমিটি অনুমোদন দেন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. তরিকুল ইসলাম ও সদস্যসচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম। কমিটিতে ১নং যুগ্ম সদস্যসচিবের পদ পান মোসা. তনিমা।
এদিকে, গুলির ঘটনাটি নগরীর গাজী মেডিক্যাল কলেজের সামনে ঘটেছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী ও এনসিপি নেতারা। তবে পুলিশের দাবি, নগরীর ১০৯ মজিদ সরণীর আল আসকা মসজিদ গলির ‘মুক্তাহাউজ’ নামে একটি বাসার নিচতলায় গুলির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সেখান থেকে গুলির খোসা, মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আলামত জব্দ করেছে। শ্রমিক নেতা মোতালেব সন্ধিগ্ধ তনিমা ওরফে তন্বী নামের এক নারীকে নিয়ে সেখানে থাকতেন। মাদক-চাঁদাবাজির ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) তাজুল ইসলাম বলেন, রোববার রাত থেকে ওই কক্ষে অবস্থান করছিলেন মোতালেব শিকদার। সকাল ১১টার আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি বাড়ি থেকে বের হন। পরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারাই তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তনিমা পলাতক ছিলেন।

















