চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘরে ঢুকে রাশেদা বেগমকে (৫০) হত্যার পর তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে যান ঘাতকেরা। ফোনটি বন্ধ রাখা হলেও পুলিশ সে ফোনের দিকে নজর রাখে। হঠাৎ বন্ধ ফোনটি চালু হয় আর তাতে খুদেবার্তা আসে। এর পর থেকে ওই ফোন ট্র্যাকিং করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাঁশখালী-সাতকানিয়ার সীমান্তবর্তী ছনখোলা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন রবিউল হাসান (২০) ও তানভীর ইসলাম (২২)। দুজনেই উপজেলার বৈলছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা।
থানা-পুলিশ জানায়, রবিউল ও তানভীর প্রায় সময় রাশেদা বেগমের ঘরের পাশে মাদক সেবন করে মাতলামি করতেন। রাশেদা বেশ কয়েকবার তাঁদের এ ব্যাপারে নিষেধ করেন। সর্বশেষ গত শনিবার বিকেলে মাদক সেবনের সময় ঝাড়ু নিয়ে তাঁদের মারতে যান রাশেদা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন আসামিরা।
রাশেদা বেগম হত্যার ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ছোট মেয়ে ডেইজি আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত কুমার সরকার ও আনোয়ারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে টানা অভিযানে মূল দুই আসামি আটক হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে খুনের সময় ব্যবহৃত বঁটি ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’