খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র

0
239
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ছবি-সংগৃহীত

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘আমরা (বাংলাদেশের) সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা তার বিষয়ে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিতও করেছি।’

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে ওই ব্রিফিংয়ের বিস্তারিত বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশে বিরোধীদলীয়দের আসন্ন মহাসমাবেশের প্রসঙ্গটিও পররাষ্ট্র দপ্তরের এই ব্রিফিংয়ে আলোচিত হয়েছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক মিলারের কাছে প্রশ্ন করে বলেন, বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে যুক্তরাষ্ট্র কোনো আহ্বান জানাবে কিনা, কারণ স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার বিচারে প্রয়োজনীয় ন্যায্যতা পূরণ করা হয়নি এবং এটি আসলে তাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত। জন হপকিন্সের তিনজন ডাক্তার বাংলাদেশে গেছেন এবং চিকিৎসার অবস্থা পরীক্ষা করে সরকারি বিধিনিষেধের বেড়াজালে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকির কথা জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

জবাবে মিলার বলেন, আমি বলব- আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অবনতিশীল স্বাস্থ্য সম্পর্কে রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা তার জন্য ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করেছি এবং এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। এটি অভ্যন্তরীণ আইনি প্রক্রিয়া।

ওই সাংবাদিক আরেক প্রশ্নে বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার প্রতিদিনই বিরোধীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ এবং গ্রেপ্তার করছে। মহাসমাবেশে বাধা দেওয়ার জন্য তারা সবরকম চেষ্টাই করছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আপনি অনেকবারই তাগিদ দিচ্ছেন – রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অনেকবার একই আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

জবাবে মিলার বলেন, এ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য হচ্ছে, যেমনটা আমরা বরাবরই বলে এসেছি, আমরা বিশ্বাস করি আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ হওয়া দরকার এবং এ বিষয়ে আমার আর কোনো মন্তব্য নেই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.