তামাক পোড়াতে দেশে ৩০ শতাংশ বন উজাড়
দেশে আগের তুলনায় কমেছে তামাক চাষ। তবে এখনও চাষের পরিমাণ বিশ্বের ১ দশমিক ৩ শতাংশ, যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে বড় বাধা। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে। তামাক চাষের কারণে খাদ্যশস্যের জমি কমে যাচ্ছে। তামাক চাষ হওয়া জেলাগুলোতে পুষ্টিকর খাদ্যের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া পরিবেশ, প্রাণিকুলেও তামাক চাষের বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি তামাক। এ জন্য অনতিবিলম্বে ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’ চূড়ান্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। এমন প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বুধবার পালিত হবে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ‘মানস’।
- তামাক নয়, খাদ্য ফলা
এতে জানানো হয়, এক একর জমিতে যে পরিমাণ তামাক উৎপাদন হয়, তা শুকানোর জন্য প্রয়োজন প্রায় ৫ টন কাঠ। তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাত করতে বনভূমি দেদার উজাড় হচ্ছে। দেশে ৩০ শতাংশ বন উজাড় হয় শুধু তামাক পোড়াতে। তামাক চুল্লিতে প্রতিবছর ২৯ লাখ ৩২ হাজার গাছ পোড়ানো হয়। তামাক চাষে ব্যবহৃত কীটনাশক ও রাসায়নিক জীববৈচিত্র্য, প্রাণীচক্রের অপূরণীয় ক্ষতি করছে।
মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, তামাক চাষিদের মধ্যে প্রতি চারজনের একজন ‘গ্রিন টোব্যাকো সিকনেস’ বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়। একজন তামাকসেবী ৫০টি সিগারেট সেবন করলে যে পরিমাণ নিকোটিন গ্রহণ করেন, ঠিক সেই পরিমাণ নিকোটিন একজন তামাক চাষি এক দিনেই শোষণ করেন, যা রীতিমতো ভয়ানক। এ ছাড়া তামাক চাষের এলাকায় গর্ভবতী নারীর নানাবিধ স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। তামাক পাতা রপ্তানিতে পুনরায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের দাবি জানান তিনি।