খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোন ছড়ায় পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. সোহেল ইসলাম (২৬)। গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, সোহেল ভাইবোন ছড়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ৪ নম্বর আসামি। প্রযুক্তির সাহায্যে মুঠোফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে খাগড়াছড়ি পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। তিনি বর্তমানে সদর থানাহেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে দুপুরের পর আদালতে পাঠানো হবে।
ভাইবোন ছড়া এলাকায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে চলতি বছরের ১৬ জুলাই খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে এ ঘটনার পর তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। মামলা হওয়ার পর সেদিনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পলাতক অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন ওই কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। তবে এ ঘটনার পর ওই কিশোরী বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে ১৬ জুলাই রাতে ঘটনাটি জানতে পারে তার পরিবার। এরপর ওই রাতেই কিশোরীর বাবা খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরমান হোসেন (৩২), সদস্য ইমন হোসেন (২৫) ও এনায়েত হোসেন (৩৫), শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৩২), ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুনির ইসলাম (২৯) ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল ইসলামকে (২৩) আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই আরমান, ইমন, এনায়েত ও সাদ্দামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গতকাল গ্রেপ্তার হন সোহেল ইসলাম। মো. মুনির ইসলাম এখনো পলাতক।

















