জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মিষ্টি দ্রব্যের মধ্যে ‘প্যাড়া’ অন্যতম। যাঁরা প্যাড়ার ভক্ত, তাঁরা রীতিমতো ফরমাশ দিয়ে বানিয়ে নেন এই মিষ্টি। জেলার ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টির মান ধরে রেখেছেন এই সময়ের কারিগরেরাও। প্যাড়ার স্বাদে গর্বিত এই অঞ্চলের মানুষ।
ঝালকাঠির ‘রসে ভরা রসগোল্লা’ একবার খেলে বারবার খেতে মন চায়
প্যাড়ার জন্য সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার শিমলা বাজারের মধু মিষ্টান্ন ভান্ডারের সুনাম আছে। এই দোকানের মালিক মধুসূদন চন্দ (৭০) বলেন, তাঁর দাদা মনমোহন চন্দ, বাবা সুশীল চন্দ ও তিনি—তিন পুরুষ ধরে বাজারের এই দোকানে ব্যবসা করছেন। ১২০ বছরের ব্যবসা তাঁদের। টিনের চৌচালা এই দোকানেই মানুষ আসেন প্যাড়া কিনতে। তবে এখন অনেক দোকানেই প্যাড়া বিক্রি হয়।
শিমলা বাজারের কালা চাঁদ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক অনিল কুমার ঘোষ (৭৪) বলেন, তাঁরা তিন পুরুষ ৭০ বছর ধরে প্যাড়া বিক্রি করে আসছেন। আর ৬০ বছর ধরে প্যাড়ার ব্যবসার কথা জানালেন একই বাজারের সংগীতা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সমীরণ কুমার ঘোষ (৪৮)।
সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সুকান্ত সাহা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে সপরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন তিনি। দেশে এলে তিনি অবশ্যই প্যাড়া নিয়ে যান বন্ধু-স্বজনদের জন্য।