ক্রেডিট কার্ড বিল, ঋণ ও ডিপিএসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে নির্দেশনা

0
33
বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে যাঁরা ক্রেডিট কার্ডের বিল, ঋণের বকেয়া ও বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেননি, বাড়তি সুদ ছাড়াই তাঁদের অর্থ পরিশোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কারফিউ ও সাধারণ ছুটির সময়ে যাঁদের ঋণের বকেয়া, ক্রেডিট কার্ডের বিল ও সঞ্চয়ী আমানতের কিস্তি দেওয়ার সময় ছিল, তাঁরা ৩১ জুলাই পর্যন্ত তা জমা দিতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ১৮-২৫ জুলাই সময়ে প্রদেয় কিস্তির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কোন ধরনের বাড়তি সুদ, জরিমানা, বিলম্ব মাশুল আদায় করতে পারবে না। এই সময়ে কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কোন সঞ্চয় স্কিম বাতিলও করা যাবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে যেসব গ্রাহক এই সময়ে ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিল বা কিস্তির অর্থ জমা দিতে পারেননি, তাঁদের কোনো সমস্যা হবে না। টাকা জমা দিতে এখন তাঁরা বাড়তি সময় পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেক ঋণগ্রহীতা ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক ব্যাংকে তাঁদের বকেয়া অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে সক্ষম হননি। এ ছাড়া অনেক আমানতকারী ডিপোজিট পেনশন স্কিমসহ (ডিপিএস) বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারেননি। এমন প্রেক্ষাপটে ১৮ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পরিশোধযোগ্য ঋণের বকেয়া অর্থ পরিশোধ, ক্রেডিট কার্ডের বিল এবং ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা কার্যকর হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঋণ এবং ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধযোগ্য অর্থ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করা হলে এই বকেয়া অর্থের ওপর কোনো প্রকারের সুদ বা মুনাফা এবং দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ, অতিরিক্ত মুনাফা, বিলম্ব ফি কিংবা জরিমানা (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আদায় বা আরোপ করা যাবে না। ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি গ্রাহক কর্তৃক ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করা হলে এর ওপর কোনো ধরনের বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায়/আরোপ করা যাবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়, এই সময়ে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধে গ্রাহক ব্যর্থ হলে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না এবং পূর্বঘোষিত হারের তুলনায় কম সুদ অথবা মুনাফা প্রদান করা যাবে না। এ ছাড়া ইতিমধ্যে কোনো ঋণ বা ক্রেডিট কার্ডের ওপর সুদ বা মুনাফা ও দণ্ড সুদ বা বিলম্ব ফি এবং ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের ওপর কোনো প্রকারের বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায় অথবা আরোপ করা হয়ে থাকলে, তা ফেরত দিতে অথবা সমন্বয় করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে পারেননি। ফলে এই সময়ের দায় কোনোভাবে তাঁদের ওপর পড়তে পারে না। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.