ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক

0
95
ফেনীর উপশম জেনারেল হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। ছবি : সংগৃহীত

ফেনীতে ক্যামেরা নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক এম এ আকাশ ও ইমন নামে দুই সাংবাদিক।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে শহরের এস এস কে সড়কের উপশম জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাসপাতালটির পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়নের নেতৃত্বে হাসপাতালের কর্মচারীরা এ হামলা চালিয়েছেন। এ সময় সাংবাদিকদের ক্যামেরাও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন হামলাকারীরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলার শিকার দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন এস এস কে সড়কের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান। এম এ আকাশ জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেনী জেলা প্রতিনিধি (মাল্টিমিডিয়া) বলে জানা গেছে।

হামলায় আহত এম এ আকাশ জানান, সোমবার বিকেল ৪টার দিকে একটি টেস্টটিউব বেবি জন্মগ্রহণ করে উপশম জেনারেল হাসপাতালে। এতে তাকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানান চিকিৎসক ও পরিবারের স্বজনরা। তাদের অনুরোধে ইমনকে নিয়ে ওই হাসপাতালে যান আকাশ। পরে ওয়ার্ডে ঢুকে নবজাতকের পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন সেখানে উপস্থিত হন এবং দুই সাংবাদিককে মারধর শুরু করেন। তাদেরকে মারধর করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গালিগালাজ করতে থাকেন হুমায়ুন ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে আকশ ও ইমনকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রাখার চেষ্টাও করেন তারা।

এ ঘটনায় সাংবাদিক এম এ আকাশ বাদী হয়ে হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় লিখিত এজহার দাখিল করেছেন।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় অভিযুক্ত উপশম জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক আব্দুল মোতালেব হুমায়ুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, হাসপাতালে কোনো অনুমতি ছাড়াই প্রবেশ করে ভিডিও ফুটেজসহ বক্তব্য রেকর্ড করতে হুলস্থুল ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন দুই সাংবাদিক। পরে আমি পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দিই।

জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.