ফিলিপসের পাল্টা আক্রমণে লিড নিউজিল্যান্ডের

0
91
দারুণ ইনিংস খেলেন গ্লেন ফিলিপস

৫৫ রানে ৫ উইকেট—মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষ বিকেলে ১০-১২ ওভারের নাটকীয় ক্রিকেটের পর দ্বিতীয় দিন কোনো বলই গড়ায়নি। বৃষ্টিতে দিনের তিন সেশনই ভেসে যায়। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে আজ তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনও খেলা হয়নি। অবশেষে দিনের দ্বিতীয় সেশনে যখন খেলা শুরু হয়, তখন বাংলাদেশ দল প্রথম দিন শেষ বিকেলের আবহ সৃষ্টি করছিল।

কিন্তু তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং জুটি তাঁদের প্রথম স্পেলে প্রথম দিনের সেই বোলিংটা করতে পারেননি। বল কিছুটা পুরোনো হয়ে যাওয়া একটা কারণ হয়ে থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশ দলের বোলিং আক্রমণের অন্য দুই সদস্য নাঈম হাসান ও শরীফুল ইসলাম নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ে আঘাত হানেন। তাতে লোয়ার অর্ডারের দুয়ার খুলে গেলেও লড়াই করে যান গ্লেন ফিলিপস। পাল্টা আক্রমণ করে ৮৭ রানের ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের স্কোরকে ১৮০ রানে নিয়ে যান, ফলে প্রথম ইনিংসে ৮ রানে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।

সেশনের শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করছিলেন ফিলিপস। মিরাজ ও তাইজুলকে স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন তিনি। উপায় না দেখে নাঈমকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন তিনি। এই ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল করতে আসা নাঈমকে প্রথম বলেই ছক্কা মারেন ফিলিপস। তবে সে ওভারের দুই বল পরই নাঈমকে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ড্যারেল মিচেল। মিড অফ থেকে দৌড়ে বাউন্ডারি সীমানার কাছে দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩৯ বলে ১৮ রান করেন মিচেল।

পরের ওভারে আবার আঘাত করেন নাঈম। এবার সদ্য ক্রিজে আসা মিচেল স্যান্টনারের আউটসাইড-এজ খুঁজে পায় নাঈমের বল। স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন নেন সহজ ক্যাচ।

উইকেট পড়ার পরও আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে গেছেন ফিলিপস। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় মাত্র ৩৮ বলে করেছেন অর্ধশতক। তাঁর সৌজন্যে নিউজিল্যান্ডের রান এক শ ছাড়ায়। ভালো খেলছিলেন কাইল জেমিসনও। বাউন্ডারি খুঁজে নিয়ে দ্রুত রান তুলছিলেন তিনি।

২ উইকেট নেন শরীফুল (মাঝে)
২ উইকেট নেন শরীফুল (মাঝে)শামসুল হক

তাঁকে থামাতে প্রথম দিন ১ ওভার করা শরীফুলকে বোলিংয়ে ফিরিয়ে আনেন নাজমুল। ৩৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলেই জেমিসনের আউটসাইড-এজ খুঁজে নেন শরীফুল। ২৮ বলে ২০ রান করে আউট হন জেমিসন। তাতে ফিলিপসের সঙ্গে ৫২ বলে ৫৫ রানের জুটি ভাঙে।

ফিলিপস আরও একটি জুটি গড়েন আরেক পেসার টিম সাউদির সঙ্গে। দুজন মিলে ২৬ বলে ২৮ রান যোগ করলে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের স্কোর ১৭২ রান ছাড়ায় নিউজিল্যান্ড। তবে শরীফুলের রিভার্স সুইংয়ে এরপর বেশি দূর এগোতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ৩৭তম ওভারে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে তাঁর বেরিয়ে যাওয়া বল কাভারে খেলতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন ফিলিপস। ৭২ বল খেলে ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ফিলিপস করেন ৮৭ রানা।

পরের ওভারের প্রথম বলেই তাইজুলকে মারতে গিয়ে মিরাজের হাতে ক্যাচ তোলেন সাউদি। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত ৩৭.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে নিউজিল্যান্ড।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.