কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপনে যা আছে

0
50
সরকার
সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় সর্বোচ্চ আদালতে সামগ্রিকভাবে বাতিলের পর এবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে বা কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি সংশোধন।’

‘সরকার এই মর্মে আদেশ জারি করিতেছে যে, সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রজাতন্ত্রের কর্মে প্রতিনিধিত্ব লাভ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরে অর্থাৎ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের এবং বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে বা কর্মে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব গ্রেডে যে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটা হচ্ছে, মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য পাঁচ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক শতাংশ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ।’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘এছাড়া নির্ধারিত কোটায় যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদগুলোতে সাধারণ মেধা তালিকা হতে পূরণ করা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখার বিগত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের পরিপত্র নম্বর ০৫.০০.০০০০.১৭০.১১.১৮-২৭৬-সহ পূর্বে জারিকৃত সব পরিপত্র/প্রজ্ঞাপন/ আদেশ/নির্দেশ/অনুশাসন রহিত করা হল। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।’
 
রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে রায় দেন যে, এ নির্দেশনা ও আদেশ সত্ত্বেও সরকার প্রয়োজনে ও সার্বিক বিবেচনায় নির্ধারিত কোটা বাতিল, সংশোধন ও সংস্কার করতে পারবেন।

আতাউর রহমান রাইহান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.