গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হকের সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র আমির মো. আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘কেএনএফের ভেরিফায়েড পেজে থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (নুরুল) সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা কেএনএফের সঙ্গে যোগাযোগের আলামত পেয়েছি। এই যে যোগাযোগ রয়েছে কি না, কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, এটা নিয়ে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। যদি গোয়েন্দারা কেএনফের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা পায় , তখন বলা যাবে। তবে বাহ্যিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তাতে যোগাযোগ থাকতেও পারে।’
এ প্রসঙ্গে নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে কী যোগাযোগ রয়েছে, সেটা তদন্ত করে জাতির সামনে প্রকাশ করা হোক।’ তিনি বলেন, এই সংগঠন সরকারের তৈরি। এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে অন্য কারও ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রুমা উপজেলা সদর বাজারের বাসিন্দা নাথান বম ২০১২ সালে কুকি-চিন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনস (কেএনডিও) নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন।
পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালে কেএনএফ নামে সশস্ত্র সংগঠনে রূপান্তর করে সদস্য সংগ্রহ করেন। ওই বছর অর্থের বিনিময়ে কেএনএফের গোপন আস্তানায় জঙ্গিগোষ্ঠী শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের চুক্তি করে। জঙ্গিগোষ্ঠীর অর্থায়ন পেয়ে কেএনএফ প্রথমে রুমা, পরে রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নে গোপন আস্তানা গড়ে তোলে ও সশস্ত্র সদস্য সংগ্রহ করে। ওই গোপন আস্তানাগুলোতে সমতল থেকে আসা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছরের ৯ অক্টোবর থেকে কেএনএফ ও শারক্বীয়া জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।