দুই দলের সমর্থকই চটে আছে ক্লাব-মালিকের ওপর। টটেনহাম হটস্পার্সের স্টেডিয়ামে তাই কাল রাতে আলাদা করে দুটি স্লোগান শোনা গেল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থকেরা সুরে সুরে দাবি জানালেন, ‘আমরা চাই গ্লেজার্সরা চলে যাক।’ টটেনহামের সমর্থকদের দাবি, ‘আমরা চাই লেভি চলে যাক।’
স্লোগান উঠেছিল আরও একটি। তা শুনে হ্যারি কেইনের নিশ্চয়ই ভালো লাগার কথা। অবশ্য টটেনহামকে সমতায় ফেরানোর গোলটি বানিয়ে দিয়ে মন-মেজাজ এমনিতেই ভালো থাকার কথা কেইনের।
টটেনহামে আগামী মৌসুম শেষে কেইনের চুক্তির মেয়াদ ফুরাবে। ক্লাবটির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে তিনি এখনো সই করেননি। এদিকে ইউনাইটেডও সেন্টার ফরোয়ার্ড খুঁজছে। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়া কেইনকে কিনতে বেশ আগে থেকেই আগ্রহী ইউনাইটেড। কাল টটেনহামের মাঠে কেইনের নামে স্লোগান তুলে ইউনাইটেডের সমর্থকেরা যেন তাতে সম্মতি জানিয়ে রাখলেন।
কেইনকে সাপ্তাহিক তিন লাখ পাউন্ড পারিশ্রমিকের প্রস্তাব দিতে চায় ইউনাইটেড। টটেনহামে সপ্তাহে দুই লাখ পারিশ্রমিক থেকে তিন লাখে উঠতে কেইনের খারাপ লাগার কথা নয়। এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে খেলার সম্ভাবনা বিচারে টটেনহামের চেয়ে ইউনাইটেডই এগিয়ে।
কাল দুই দল ২-২ গোলে ড্রয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের চারে এরিক টেন হাগের দল। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট ইউনাইটেডের। ৩৩ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে টটেনহাম।
মজার ব্যাপার, ম্যাচের প্রথমার্ধে ইউনাইটেড যখন ২-০ গোলে এগিয়ে, তখন ক্লাবটির সমর্থকেরা সুর তুলেছিলেন, ‘হ্যারি কেইন, জুনে আমরা তোমার অপেক্ষায় থাকব।’ অর্থাৎ মৌসুম শেষেই তাঁকে চাচ্ছেন ইউনাইটেডের সমর্থকেরা। কেইনও তাঁর দারুণ জবাব দিয়েছেন মাঠে। অ্যাটাকিং থার্ডে ইউনাইটেডের কী নেই, ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার যেন সেটাই বুঝিয়ে দিলেন’
৭ মিনিটে জেডন সানচো ও ৪৪ মিনিটে মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে এগিয়ে ছিল ইউনাইটেড। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে পেদ্রো পোরো টটেনহামের হয়ে একটি গোল করেন। এরপর ৭৯ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ঝলক দেখান কেইন। বাঁ প্রান্তে সন হিউ-মিনকে ‘আনমার্কড’ অবস্থায় দেখে নিখুঁত বাঁকানো পাস বাড়ান, গোল করতে সনকে শুধু পা ছোঁয়ানোর আনুষ্ঠানিকতা সারতে হয়।
ম্যাচসেরা কেইনের বানানো ওই গোলেই শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডের কাছ থেকে পয়েন্ট কেড়েছে টটেনহাম। তাতে ইউনাইটেড–সমর্থকদের কেইনকে কেনার দাবিটাও যেন আরও জোরালো হলো।