কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) উত্থানে চীনের অর্ধেক চাকরিজীবী তাদের কাজ হারাতে পারেন। এ জন্য নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর- সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে বাড়তি সুবিধা গ্রহণের পাশাপাশি চাকরির বাজারে সুবিধা নিতে হলে নতুন পরিকল্পনা প্রয়োজন হবে। নিজস্ব জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে তুলতে হবে, যেন এআইনির্ভর বিভিন্ন সেবা পরিচালনায় তারা যোগ্য হয়ে ওঠে।
সাংহাই ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক লিউ কিন বলেন, এখন সহজেই এআই দিয়ে কোম্পানির ব্যবসায়িক অবস্থা বিশ্লেষণ, আর্থিক ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং আর্থিক প্রতিবেদন তৈরির মতো কাজ সেরে ফেলা যায়। এটি কর্মীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এমন নানা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
এদিকে সম্প্রতি মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি চ্যাটজিপিটি, গুগলের বার্ড এবং বাইদুর আনি বট উন্মোচনের পর শীর্ষ এক মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাংক শঙ্কা প্রকাশ করেছে, এআই-এর উত্থানে বিশ্বে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ চাকরি হারাতে পারে।
ব্যাংকটির প্রতিবেদনমতে, এআইর প্রভাবে বিভিন্ন খাতে পরিবর্তন আসবে, যেখানে প্রশাসনিক কাজের ৪৬ শতাংশ ও আইনি পেশার ৪৪ শতাংশ কাজ স্বয়ংক্রিয় উপায়ে হতে পারে। তবে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণভিত্তিক খাতে যথাক্রমে ৬ ও ৪ শতাংশ ভূমিকা রাখবে এআই। মানুষের চেয়ে অনেক কম খরচেই এসব কাজ করে দেবে এআই।
এর আগে ‘গোল্ডম্যান স্যাকস’ এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মোট কর্মশক্তির এক-চতুর্থাংশ চাকরির জায়গা নিতে পারে এআই। তবে এআইর উত্থানে নতুন চাকরির সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি উৎপাদনশীলতাও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যাপিত জীবনের প্রথাগত পদ্ধতিকেই বদলে দিতে পারে এআই। এআইর ফলে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক ব্যয়ও বাড়তে পারে।