আবার কুয়াশা কমতে শুরু করলে সকাল আটটার দিকে ফেরিগুলো ঘাট ছাড়তে শুরু করে। এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রাত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী তেমন গাড়ি না আসায় দৌলতদিয়া প্রান্তে গাড়ির জটলা ছিল না। একইভাবে পাটুরিয়া প্রান্তে রাজধানী থেকে ছেড়ে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী গাড়ি চাপও তেমন ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম বলেন, মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। চার ঘণ্টার মতো ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে। তবে সকাল আটটার দিকে ফেরি ছাড়লে অল্প সময়ের মধ্যেই দ্রুত ঘাটে যানবাহনের চাপ কমে যায়।
এদিকে গতকাল রাত থেকে নৌপথের পাশাপাশি সড়কপথেও কুয়াশার কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। গাজীপুর থেকে ব্যক্তিগত নিয়ে রাতে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা দেন শামসুল হক। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এত কুয়াশা পড়েছে যে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছিল না। তাই সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে সতকর্তার সঙ্গে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তাঁকে। সড়কের কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার কারণে সামান্য কয়েক ফুট দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।