কুমিল্লায় পেটানোর দুই সপ্তাহ পর প্রবাসীর মৃত্যু, লাশ নিয়ে থানায় স্বজনেরা

0
9
নিহত স্বপন ভূঁইয়া, ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় চাঁদার দাবিতে এক প্রবাসীকে পেটানোর দুই সপ্তাহ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তাঁর লাশবাহী গাড়ি নিয়ে থানায় গেছেন স্বজনেরা।

মারা যাওয়া ওই প্রবাসীর নাম স্বপন ভূঁইয়া (৩২)। তিনি তিতাস উপজেলার ওমরপুর গ্রামের সোবহান ভূঁইয়ার বড় ছেলে। দীর্ঘদিন তিনি কাতারে ছিলেন। সম্প্রতি নতুন করে সৌদি আরবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। স্বজনদের অভিযোগ, চাঁদার জন্য স্থানীয় ‘কিশোর গ্যাং’ তাঁকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত স্বপনের স্ত্রী মরিয়ম বেগম অভিযোগ করে বলেন, আট মাস আগে স্বপন কুয়েত থেকে দেশে ফেরার পর স্থানীয় ‘কিশোর গ্যাং’ তাঁর স্বামীর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু স্বপন দিতে রাজি হননি। এতে উত্তেজিত হয়ে গত ৩১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে তুলে ব্যাপক মারধর করে। তাঁকে মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে। এরপর স্বপনকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তিনি মারা যান।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মরিয়ম বেগম বলেন, একমাত্র ছেলেকে কীভাবে লালন–পালন করবেন? ছেলের লেখাপড়ার খরচ কে দেবে? তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন।

নিহত স্বপনের বোন আয়েশা আক্তার বলেন, তাঁর নিরপরাধ ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। চাঁদার দাবিতে ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করবেন।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে মারধরে কিশোরদের পাশাপাশি বড়দেরও দেখা যাচ্ছে। নিহত ব্যক্তির বোন বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.