ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামের দুধকুমার নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টায় দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে দুধকুমার নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে বন্দি হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। তলিয়ে গেছে এসব চরের শাক-সবজি ও পাটের আবাদ।
দুধকুমার নদীর অববাহিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ছিটপাইকের ছড়া ও পাইক ডাঙ্গা, চরবলদিয়া, চর শতিপুরি, নাগেশ্বরী উপজেলার ফান্দের চরসহ বেশ কিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখানকার প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার পাট, শাকসবজির আবাদ পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, গত দুইদিন থেকে ইউনিয়নটির ২ নম্বর ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শতাধীক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ হতে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি, পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদের পানি ও তালুকশিমুল বাড়ী পয়েন্ট ধরলার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্প মেয়াদি বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, আসন্ন বন্যা মোকাবিলায় প্রশাসনের সব-ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।