ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরে এক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় থানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে একদল বিক্ষোভকারী। এতে থানা ভবনের একাংশ ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি পুড়ে যায়।
মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ শহরের মনিবাগ প্রতিবাদ ক্লাবের মাঠ থেকে থানা ঘেরাও করার উদ্দেশে কালিয়াগঞ্জ শহরের রায়গঞ্জ বালুরঘাট রাজ্য সড়কের পাশে রাজবংশী ও আদিবাসী সংগঠনের লোকজন জড়ো হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা কালিয়াগঞ্জ থানার সামনে মিছিল নিয়ে গেলে ব্যারিকেড ভেঙে থানার মধ্যে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ করলে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও পরবর্তীতে ব্যাপক সংখ্যায় বিক্ষোভকারীরা থানার সামনে জড়ো হয়ে থানার মধ্যে প্রবেশের চেষ্টা করে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ টিয়ার শেল ছুঁড়লে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে। এর এক পর্যায়ে কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে থানা ছেড়ে পালিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা। এই ঘটনায় একাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। এছাড়া জলকামান প্রয়োগ করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে জেলা পুলিশ সুপার সানা আক্তারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গোটা কালিয়াগঞ্জ শহর টহল দিচ্ছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় ১৭ বছরের ওই কিশোরী। পরদিন শুক্রবার কালিয়াগঞ্জ থানার পাশে একটি খালে ওই কিশোরীর মরদেহ পাওয়া যায়। পরে ওই কিশোরীর মরদেহ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় পুলিশকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়লে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ঘটনায় পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হলেও বিক্ষোভ কমেনি।