কিছু ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে: আইন উপদেষ্টা

0
19
আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। সচিবালয়, ঢাকা, ৩ জুন ২০২৫

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ কিছু ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে কর্মচারীদের আপত্তিগুলো শোনা ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়ার লক্ষ্যে উপদেষ্টা পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-কে ‘কালো আইন’ আখ্যায়িত করে এটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। ঈদের পর প্রয়োজন হলে আন্দোলন কর্মসূচি ডিসি অফিস, বিভাগীয় অফিসসহ সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

ওই স্মারকলিপি পাওয়ার পর আইন উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, এই অধ্যাদেশের ব্যাপারে তাঁদের (কর্মচারীদের) অনেক আপত্তি আছে। তাঁদের আপত্তিগুলো শোনার পূর্ণ মানসিকতা সরকারের রয়েছে। তিনি (আইন উপদেষ্টা) যত দূর জানেন, এ বিষয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে আপত্তিগুলো ভালো করে শোনা ও বিবেচনা করা এবং সুপারিশ করা। কমিটি প্রস্তাব দেবে। অধ্যাদেশটি উপদেষ্টা পরিষদে পাস হয়েছে, তাই উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপিত হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, এমনি আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকা কখনো প্রত্যাশিত ব্যাপার হতে পারে না। ভালো করে শোনা ও বোঝার জন্যই কমিটি গঠন করা হচ্ছে।

এর আগে গত রোববার অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন কর্মচারীরা। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অধ্যাদেশটি দেখেছি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজনের নজরে এই জিনিসটা এনেছি। এখানে কিছু প্রভিশন আছে, যেগুলো অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে।’

অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবি জানিয়ে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে ১০ দিনের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলন চলার মধ্যেই অধ্যাদেশটি জারি করে সরকার। এর পর থেকে বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.