‘কারা আগে যাবে’ নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব, নিহত তরুণ

0
67
মেহেদী হাসান

রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে মেহেদী হাসান (১৮) নামে এক তরুণ খুন হয়েছেন। রাস্তা পারাপার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।

নিহত মেহেদী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলেন। তার বাসা ভাটারার নুরের চালা এলাকায়। তিনি এবার এসএসসি পাস করেছেন। কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মুহঃ আহাদ আলী বলেন, মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় কে আগে যাবে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মেহেদী খুন হন। জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ শনিবার আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় নেতাকর্মীরা এতে অংশ নেন। বিকেল ৪টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিটিউট থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২-এ শেষ হয়। এরপর নেতাকর্মীরা যে যার মতো বাড়ি ফিরছিলেন। ভাটারা থানাধীন নুরের চালা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের শতাধিক নেতাকর্মী ধানমন্ডি ৩২ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে ফার্মগেটের দিকে যাচ্ছিলেন। আরও বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা একই সড়ক হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের কেউ ছিলেন পিকাপ ভ্যানে, কেউ বাসে, কেউ হেঁটে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নুরের চালা এলাকার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আরেক গ্রুপ পিকাপভ্যানে যাচ্ছিল। তাদের পিকাপভ্যান থামিয়ে নুরের চালা এলাকার নেতাকর্মীরা রাস্তা পার হওয়ায় তারা ক্ষুব্ধ হন। গাড়ি থেকে নেমে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পিকাপভ্যান থেকে নেমে আসা দুই যুবক চাকু বের করে নাহিদের বুকে আঘাত করে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মেহেদীর মামা মোহাম্মদ চয়ন মিয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (নুরের চালা এলাকা) স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেহেদী তার সঙ্গেই শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানে আসেন। তারা একসঙ্গে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।  তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে। পিকাপভ্যান থেকে নেমে আসা দুজন সুইচ গিয়ার চাকু বের করে মেহেদীর বুকে আঘাত করে।

মেহেদীর বাবা আবু হানিফ বাসা বাড়িতে ডেকেরেশনের কাজ করেন। মেহেদীর মা লিপি শিকদার ওয়ার্ড মহিলা লীগের সাধারাণ সম্পাদক। দুই ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী বড় ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.