কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর জন্য প্রার্থনা ও শেষ দর্শন আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার কানাডার ইটোবিকোকের ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল এন্ড ক্রিমেশন সেন্টারে এ প্রার্থনার অনুষ্ঠান শেষ হয়।
একই দুর্ঘটনায় নিহত অপর দুই বাংলাদেশি ছাত্র শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্তর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদীনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় তাদের বন্ধু ও কলেজের ডীন, কমিউনিটির ব্যক্তিবর্গ, এমপিপি ডলি বেগমসহ প্রায় ১২০০-১৫০০ মানুষ অংশ নেন। টরোন্টো ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই জানাজায় অংশ নেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কানাডিয়ান ফিউনারেল সার্ভিস এর পক্ষ থেকে মাসুম আকতার বাপ্পী জানান, কখন তাদের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কানাডায় আজ ছুটি। তাই আগামী বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার এর মধ্যে জানা যাবে কবে মরদেহ দেশে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে শাহরিয়ার এবং দীপ্ত শরীর পুড়ে গেছে। কিন্তু কারও শরীর পুড়ে যায়নি।
এদিকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এর ছেলে নিবিড় কুমার দে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। টরোন্টো এর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরোন্টোতে অবস্থান করছেন।
স্থানীয় সময় গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টায় কানাডার টরন্টোয় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। টরন্টোর হাইওয়ে ৪২৭-এর দুনদাস স্ট্রিট ওয়েস্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িটি অতিরিক্ত গতিতে চলছিল। সড়ক বিভাজকে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি উল্টে আগুন ধরে যায় বলে দেশটির পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।