ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান গতকাল মঙ্গলবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌঁছেছেন। গত আড়াই মাসের মধ্যে দোহায় এটা তাঁর চতুর্থ সফর।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ার সঙ্গে দোহায় বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে তাঁরা ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীরের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসমাইল হানিয়া হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান।
এ বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খানানি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য হামাস ও হানিয়া—উভয়ে প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা এখনো চলছে। এ কারণে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র আরও বলেন, গাজার মানুষের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার, এ বিষয়ে কাতার সরকারের সঙ্গে ইরানও একমত। এ বিষয়ে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
সফরকালে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানের বৈঠক করার কথা রয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার দুই মাস পেরিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে গাজায় হামলা বন্ধ ও গাজাবাসীর জন্য আরও মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দিতে ইসরায়েলের প্রতি আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে।
এর আগে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মধ্যস্থতা করেছিল কাতার ও মিসর। গত নভেম্বরের শেষে সপ্তাহজুড়ে চলা যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৮৬ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ২৪০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পান। হামাসের পক্ষ থেকে ২৪ বিদেশি জিম্মিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।