বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ আগের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও, চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছেন না দোকানীরা। মাছের বাজারে উত্তাপ বেড়েই চলেছে। কারণ হিসেবে যোগানের স্বল্পতাকে দুষছেন বিক্রেতারা। সব জাতের মুরগির দাম কমেছে। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ লেবুর দামেও কাটেনি অস্বস্তি। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজসহ কিছু সবজি ও মশলার দাম।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বেশ কয়েক সপ্তাহ উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকার পর, আবারও দামের আঁচ লেগেছে মাছ বাজারে। বেশিরভাগ মাছের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নদীর মাছের দাম বেড়েছে আরও বেশি। সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না বড় আকারের চাষের রুই-কাতলা। এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না চিংড়ি। মাঝারি আকারের প্রতি কেজি আইড়, বোয়ালের জন্য দিতে হবে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা।
অবশ্য কয়েক সপ্তাহ পর কিছুটা স্বস্তির সুবাতাস বইছে পোল্ট্রি বাজারে। সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি দামও কমতে শুরু করেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মিলছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা কমে, ২৬০-৭০ এ মিলছে সোনালি জাত। আর লেয়ার ৩শ’ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গরম পড়ে যাওয়ায় খামারগুলোতে উৎপাদন বেড়েছে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে।
স্থিতিশীল রয়েছে গরুর মাংসের বাজার। তবে রমজান মাসে ক্রেতা কম মাংসের দোকানে। বিক্রেতারা বলছেনৱ, ২৭ রোজা পর্যন্ত নির্ধারিত সাড়ে সাতশো টাকা দরেই মিলবে গরুর মাংস। অপরদিকে, রোজার শুরুতে বেড়ে যাওয়া, খাসির মাংসের দামেও ভাটা পড়েছে। মিলছে ১১শ’ টাকা কেজিতে।
বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও পুরোপুরি সংকট এখনও কাটেনি। অধিকাংশ দোকানে ১-২ লিটারের বোতলজাত ভোজ্যতেল পাওয়া গেলেও, ৫ লিটারের বোতলের যোগান নেই বললেই চলে। ক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়াতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। ২৮ জাতের চাল ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লেবু ও বেগুনের বাজারের উত্তাপ কমছেই না। প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। প্রতি পিস এলাচি লেবুর দাম ২৫ টাকা। করলা, পটল, ঢেঁড়সের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ১০০ টাকার উপরে।
আলু ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই কম। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা ও দেশি পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে আলু ও পেঁয়াজের মৌসুম থাকায় সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। এ কারণে দাম কম।
তবে স্বস্তি রয়েছে শীতকালিন সবজির বাজারে। ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, পেপের জন্য ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। তবে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সিম বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।