কাঁচা মরিচের বাজারে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। এক মাস আগে যে দাম ছিল, তার চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম এখনো ৩০০ টাকার বেশি। বাজারে আলুর দামও বাড়তি। তবে কমেছে মুরগির দাম। সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সবখানে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে না। চাল, ডাল, ডিমসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর ও মালিবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়। এক মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আলুর দামও বেড়েছে। প্রতি কেজি আলুর দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ভালো মানের আলু কোথাও কোথাও ৫০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা শাহিন আহমেদ বলেন, আমদানির পরে কাঁচা মরিচের দাম যেভাবে নামার কথা, সেভাবে নামেনি। বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় অন্যান্য সবজির দামও বাড়তি।
তবে বাজারে মুরগির দাম কমার দিকে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের দাম পড়ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। সাদা রঙের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সব কোম্পানি এখনো বাজারে নতুন দরের তেল বিক্রি শুরু করেনি। তাতে বিক্রেতারা পুরোনো দামেই ক্রেতাদের কাছে তেল বিক্রি করছেন। আবার অনেক বিক্রেতার কাছে পুরোনো তেল থেকে যাওয়ায় কোম্পানি থেকে নতুন দরের তেল নিচ্ছেন না।
কোরবানির ঈদের পরে বাজারে মাংসের চাহিদা কমে আসায় বেড়েছে মাছের চাহিদা। তাতে বাজারে মাছের দাম কিছুটা বাড়তি। দেড় কেজির ওপরের রুই মাছের কেজির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। ছোট আকারের রুই মাছের দামও এখন প্রতি কেজি ৩০০ টাকার আশপাশে। পাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ মানভেদে কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ইলিশ ও নদীর অন্যান্য মাছের দাম নাগালের বাইরে।
শাহজাহানপুর বাজারের ক্রেতা রহমত আলী বলেন, ‘ঈদের পরে বাচ্চারা ইলিশ খেতে চাইল। কিন্তু বাজারে গিয়ে যে দেখলাম, তাতে ইলিশ না কিনে ফিরে এসেছি।’