যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোয় পরিত্যক্ত একটি সোনার খনিতে নেমে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বর্তমানে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ওই খনিতে ওঠানামা করার লিফট নষ্ট হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় সেখানে এক হাজার ফিট (৩০০ মিটার) নিচে আটকা পড়েন ১২ জন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কলোরাডোর ক্রিপল ক্রিকে অবস্থিত মলি ক্যাথলিন নামের সোনার খনিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ১৯৬১ সালে খনিটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এটি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। খনির নিচে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
টেলার কাউন্টির শেরিফ জেসন মাইকসেল সাংবাদিকদের বলেন, লিফটটি কয়েকজন পর্যটককে খনির এক হাজার ফিট নিচে রেখে আরও কয়েকজনকে নিয়ে ওপরে উঠছিল। মাঝপথে লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন চারজন। তবে ওই ব্যক্তি কীভাবে মারা গেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি মাইকসেল।
মাইকসেল জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ১১ জনকে ওপরে তুলে আনতে সক্ষম হন উদ্ধারকর্মীরা। তাঁরা নিচে আটকে পড়া ১১ পর্যটক ও একজন গাইডকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা শুরু করেন।
পরে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কলোরাডোর গভর্নর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন, খনির নিচে ১২ জন ছয় ঘণ্টা আটকা পড়ে ছিলেন। পরে তাঁদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
খনিটির পর্যটনসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮৯১ সালে মলি ক্যাথলিন গর্টনার নামের এক নারী খনিটি আবিষ্কার করেন। তখন থেকে সোনা উত্তোলনের পাশাপাশি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো খনিটি। এক হাজার ফিট নিচের এই খনিতে লিফট ব্যবহার করে নামতে সময় লাগে দুই থেকে তিন মিনিট। আর ওপরে উঠে আসতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মিনিট।
বেসরকারি উদ্যোগে খনিটিতে ৫০ বছরের বেশি সময় পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৮৬ সালে সেখানে সর্বশেষ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
রয়টার্স ও বিবিসি