চীনের কাছে চিপ রপ্তানিতে আসছে আরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

0
86
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পতাকা

চীনে চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন চীনকে এই বলে সতর্ক করেছে যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চিপ বা এআই চিপ ও চিপ নির্মাণের উপকরণ রপ্তানি সীমিতকরণ বিধিমালা শিগগিরই হালনাগাদ করা হবে। চলতি মাসেই তা করা হতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মূলত এ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিষয় দেখভাল করে। তারা এখন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা বিধি হালনাগাদ করতে কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে নেদারল্যান্ডস ও জাপানের অনুসরণে যুক্তরাষ্ট্র চীনের কাছে চিপ রপ্তানি আরও সীমিত করবে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চিপ রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর আছে, সেগুলো বন্ধ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, চিপ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে। এ সময় যে তালিকা হালনাগাদ করা হতে পারে, চীন নিজেই তা ধারণা করছিল। এর আগে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর মূল নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের এ তথ্য দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তারা। তবে এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

নিষেধাজ্ঞা হালনাগাদের তথ্য আগাম জানানোর মধ্য দিয়ে বাইডেন প্রশাসন অবশ্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের আকাশে চীনের গোয়েন্দা বেলুন ভূপাতিত করার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বেশ কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চীন সফরে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে আছেন দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমোন্ডো। গত আগস্ট মাসেই তিনি চীন সফর করে ফিরেছেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল এ রকম: চীন যেন মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে না পারে এবং তারা যেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে উন্নত চিপ নির্মাণের উপকরণ আমদানি করতে না পারে।

এ বিষয়ে রয়টার্স মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চীন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটনের দেওয়ার মতো কিছু নেই। মুখপাত্র লিউ পেংগুই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে জাতীয় নিরাপত্তার ধারণা সম্প্রসারণ করছে এবং রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়ে চীনের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে, আমরা তার জোর বিরোধিতা করি।’

হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা পিটার হ্যারেল অবশ্য জানেন না যে মার্কিন প্রশাসন চীনকে এই নতুন নিয়মের বিষয়ে অবগত করেছে। তবে যদি তারা সেটা করে থাকে, তাহলে তাকে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে মানতে হবে। এতে ভুল–বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবে না।

রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, বিশ্বের চিপ তৈরির উপকরণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস ও জাপান। তারা চলতি বছরের শুরুর দিকে চীনের কাছে এসব উপকরণ রপ্তানি সীমিত করতে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.