মৌসুমি বৃষ্টিপাত সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত তাইওয়ানে এবার আঘাত হানতে যাচ্ছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির উত্তরাঞ্চলে আছড়ে পড়বে টাইফুন গেইমি নামে ঘূর্ণিঝড়টি। এর মোকাবিলায় দেশটিতে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। অফিস-আদালতের পাশাপাশি স্কুল-কলেজ ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তাইওয়ানে গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘটেছে ভূমিধসের ঘটনাও। এতে বুধবার পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও অন্তত ৬ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও স্থানীয় গণমাধ্যমে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মৌসুমি বৃষ্টিপাতে দেশ যখন বিপর্যস্ত, তখন ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গেইমি। এই কারণে তাইওয়ানে স্কুল-কলেজ ও স্টক মার্কেট বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেন ও ফেরি সার্ভিস বন্ধ এবং বিমানের ২৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
টাইফুনের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে প্রবল বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। টাইফুন গেইমি স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে জরুরি ব্রিফিংকালে সকলকে নিরাপদে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে। তিনি বলেন, টাইফুন গেইমি চলতি বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে তাইওয়ানে আঘাত হানতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করছি আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় টাইফুনের প্রভাব সীমিত রাখা সম্ভব হবে। এছাড়া এ সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যেতে আমি সকলকে অনুরোধ করছি।
এদিকে কর্তৃপক্ষ উত্তরাঞ্চলীয় তিনটি এলাকা থেকে দুই হাজার একশ’রও বেশি লোককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। বিশেষকরে পার্বত্য এলাকা হুয়ালিয়েনে ভূমিধসের ঝুঁকি থাকায় সেখান থেকে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।
তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া প্রশাসনের প্রধান চেং জিয়া পিং বলেছেন, টাইফুনের প্রভাব চারদিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এ সময়ে প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।