কানাডায় বাংলাদেশ সরকারের কনস্যুলার নীতির কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশন। বুধবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে হাই কমিশন। এতে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের অপপ্রচারে জড়িত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়।
হাই কমিশন বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে- কতিপয় কট্টরপন্থী গোষ্ঠির সমর্থনে কানাডায় বসবাসরত স্বাধীনতাবিরোধী মুষ্টিমেয় ব্যক্তি বাংলাদেশ সরকারের কনস্যুলার নীতির কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে। বিষয়টি সম্প্রতি হাই কমিশনের নজরে এসেছে। এই ধরনের কার্যক্রম একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল।
এতে আরও বলা হয়, এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরেপক্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এই ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব অশুভ তৎপরতার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এবং যারা তাদের মদদ দিচ্ছে তাদের ব্যাপারে বাংলাদেশ হাই কমিশন, কানাডা ও বাংলাদেশ সরকার অবহিত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিক ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিকদের যথাসময়ে ও ঝামেলাহীন কনস্যুলার সেবা দিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন সবসময় প্রস্তুত। সম্প্রতি বাংলাদেশ হাই কমিশনের চেষ্টায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিকদের ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে সন্তানদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দলিলাদির তালিকা থেকে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের বাধ্যবাধকতা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশবিরোধী অপপ্রচারে জড়িত না হওয়ার অনুরোধ করা হয়।