‘নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে তত গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে’

0
107
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিএনপির নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি ও ‘একদফা’ দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নেতাকর্মীদের সাজা ও মামলার চিত্র তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের তারিখ যতো ঘনিয়ে আসছে ততই তারা (সরকার) বিভিন্ন অজুহাতে সারাদেশে গণতান্ত্রিক কর্মীদের গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করছে। কারণ কি? কারণ একটাই, সামনে নির্বাচন। নির্বাচন থেকে সব বিরোধী দলকে দূরে রাখতে হবে তাদের। নিরপেক্ষ সরকারের যে আন্দোলন, সেই আন্দোলনে যাতে বিরোধী দলের নেতারা অংশ নিতে না পারেন- সেই কারণে গ্রেপ্তার করতে হবে।

গণভবনে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনাদের বলেছেন- ভোট করতে হবে। নির্বাচন হবে। আপনারা সবাইকে ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য ভোটারদের অনুপ্রাণিত করবেন।’

তরুণদেরকে উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তরুণদের জেগে উঠতে হবে। শুধু এখানে স্লোগান দিলে হবে না। সামনে আসতে হবে। গুলি এবং আক্রমণ সামলে দেশ বাঁচাতে আমাদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আজ ডাক এসেছে, দেশের কাছ থেকে, সাধারণ মানুষ, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কাছ থেকে ডাক এসেছে। আর কালবিলম্ব না। এখনই সময় আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘এই গণতন্ত্র দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের আগেই ডিসি, এসপি এবং ইউএনওদের নিজেদের (সরকার) মতো করে সাজানো হচ্ছে। আর নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে যে, যে ভাববে পার এবং যত পার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দাও, তাদের কারাগারে পাঠাও। অনেক নেতা আছেন যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাই মামলা ভয় করলে চলবে না। মামলা উপেক্ষা করে তথাকথিত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগকে অতিক্রম করে আমাদের জোট বেঁধে রাস্তায় দাঁড়াতে হবে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এই বছরে বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ কৌতুক কোনটা? গতকাল (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, আমি এতো ভালো ভালো নির্বাচন করি, আর দেশে-বিদেশে প্রশ্ন করা হয় নির্বাচন ভালো হয় না। উনি না কি ভালো ভালো নির্বাচন করেন। এই বছরে এটাই হচ্ছে সেরা কৌতুক। শেখ হাসিনা ভালো নির্বাচন করেন- এই কথা ঘোড়াও বিশ্বাস করে? ঘোড়া শুনলেও হাসে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.