আগে সময় পেলেই দুজনে মিলে কোথাও ঘুরতে যেতেন কিংবা খেতে যেতেন কোনো রেস্তোরাঁয়। কিংবা অন্য কোনো ছুতোয় একসঙ্গে কাটাতেন সময়। আর এখন তেমন পরিকল্পনা করতে গেলেই নানা অজুহাত খুঁজতে থাকেন। তার মানে, সম্পর্কটা আর উপভোগ করছেন না আপনি।
আগে যা করার দুজনে মিলেই করতেন। আপনার সব পরিকল্পনায় থাকত আপনার সঙ্গী। সঙ্গীর সব পরিকল্পনাতেও অনিবার্যভাবে থাকতেন আপনি। দুজনে দারুণভাবে উদ্যাপন করতেন একে অন্যের সাফল্য। কিন্তু এখন আর তা মন থেকে আসছে না। তার মানে বদলে গেছে আপনার মনের ভাব।
আগে কোনো ভালো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীকে ফোন করতেন। তাঁকে না বলা পর্যন্ত ঠিক যেন সুখবরটা উপভোগ করতে পারতেন না। এখন আর তেমন বোধ করেন না। এর মানে সঙ্গীর প্রতি আপনার আর সেই আগের মতো অনুভূতি কাজ করছে না। কাজেই, নতুন করে ভাবুন।
আগে আরেকজনকে দেখলেই দুজনের মধ্যে ভালো লাগা কাজ করত। এখন হয় উল্টো। অন্যজনকে দেখলে বিরক্ত হন। সঙ্গীর খারাপ দিকগুলোই আগে চোখে পড়ে। হয়তো পরস্পরের প্রতি বিশ্বাসটাই ভেঙে গেছে। আর নেই আগের মতো। তেমন হলে অযথা সম্পর্কটা টেনে নেওয়ার চেয়ে নতুন শুরুই আপনাদের জন্য ভালো হবে।
সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ভীষণ জরুরি। কেবল আপনার সঙ্গীকেই নয়, তাঁর পছন্দ-অপছন্দকেও শ্রদ্ধা করতে হয়। সেগুলোকেও ঠাঁই করে দিতে হয় আপনার জীবনে। মিলিয়ে নিতে হয় দুজনের পছন্দ। এক না হোক, অন্তত সেগুলোতে যেন বিরোধ না হয়। যদি তা–ই হয়, তাহলে ঠিকঠাক চলছে না আপনাদের যৌথ যাত্রা।
সম্পর্কে স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ খুব জরুরি। যদি এমন হয়, আপনাদের কথাবার্তা একদমই বন্ধ হওয়ার জোগাড়, কাজের কথার বাইরে একদম কথাই হচ্ছে না, তার মানে সম্পর্কটা আর স্বাস্থ্যকর নেই। কিংবা যখনই কথাবার্তা হচ্ছে, চিল্লাচিল্লি–রাগারাগি হচ্ছে, সেটাও আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারে ভালো কোনো বার্তা দেয় না।
সম্পর্কে ছোটখাটো বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। যদি সেগুলো নিয়ে আপনাদের মনোমালিন্য হয়, দুজনের মত দুই রকম হয়, তাহলে বিপদ। হয়তো তা নিয়ে খিটিমিটি যাতে না বাঁধে, সে জন্য আপনি কিছুই বলছেন না। যদি এমন হতে থাকে, তার মানে সময় এসেছে আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবার।