লক্ষ্মীপুর শহরে ককটেল ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় দোকানপাট বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। তাঁরা নিরাপত্তা চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে কার্যালয়ে গিয়ে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলার শাখার আহ্বানে আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার কর্মসূচি পালন করেন ব্যবসায়ীরা। জেলাব্যাপী পাঁচ শতাধিক জুয়েলারি ব্যবসায়ী এ কর্মসূচিতে একাত্ম হন। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ। এ সময় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের কলেজ রোডের সামাদ মোড় এলাকার চৌধুরী সুপার মার্কেটের আর কে শিল্পালয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকান মালিক অপু কর্মকারকে (৪৮) কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে দোকান লুট করে দুর্বৃত্তরা পিকআপ ভ্যানে করে পালানোর সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। পরে ইটের পোল নামক এলাকায় গিয়ে পিকআপটি দুজন পথচারীকে চাপা দিয়ে উল্টে যায়। ওই পথচারীদের মধ্যে সফি উল্লাহ (৭০) মারা গেছেন। এ সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা। তাদের কাছ থেকে সোনা ও ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
বাজুস লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পাল বলেন, ঘটনার পর লক্ষ্মীপুরে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য স্মারকলিপি দিয়েছেন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সোনার দোকানে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পরপরই দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সোনা ও ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি বলেন, ডাকাত দলের কয়েকজন ক্রেতা সেজে সোনার দোকানে ঢোকে। আর চার-পাঁচজন বাইরে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে প্রথমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে সোনার দোকানে লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে পালানোর চেষ্টা করে।