লড়াইটা দুই দলের জন্য দুই রকম।
অ্যাশেজে চতুর্থ টেস্ট আজ থেকে শুরু হচ্ছে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এজবাস্টন ও লর্ডসে প্রথম দুই টেস্ট হারের পর হেডিংলিতে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টটা তাই বেন স্টোকসদের জন্য সিরিজে টিকে থাকার লড়াই। জিততে পারলে খুবই ভালো, কিন্তু সেটি না হলেও হারা চলবে না ইংলিশদের। অস্ট্রেলিয়ার জয় মানেই সিরিজ তাদের। ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ জিতবে অস্ট্রেলিয়া। সে লক্ষ্যে ম্যানচেস্টার টেস্টে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামবে প্যাট কামিন্সের দল। এ যাত্রায় টিকে গেছেন বাজে ফর্মের কারণে ধুঁকতে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার। তবে স্কট বোল্যান্ড আর টড মার্ফিকে বাদ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একাদশে নেওয়া হয়েছে ক্যামেরন গ্রিন ও জশ হ্যাজলউডকে।
হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ ওয়ার্নার। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মাত্র ৫ রান। দুই ইনিংসেই শিকার হয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রডের। তবে কাল প্যাট কামিন্সের সংবাদ সম্মেলনটি স্বস্তি হয়েই এসেছে ওয়ার্নারের জন্য। আপাতত ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন এই বাঁ হাতি ওপেনার।
সংবাদ সম্মেলনে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের একাদশ নিয়ে কামিন্স কোনো রাখঢাকই রাখেননি, ‘জশ হ্যাজলউড স্কট বোল্যান্ডের জায়গায় খেলবে। ওয়ার্নার হেডিংলিতে মোটেও ভালো করেনি। কিন্তু ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের আগে মনে হচ্ছে সে ফর্মে আছে। ওয়ার্নার ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ওপেনিং জুটির অংশ। যেটি কিছুটা বিরল ব্যাপার ইংলিশ কন্ডিশনে।’
চোটের কারণে হেডিংলি টেস্টে খেলতে পারেননি ক্যামেরন গ্রিন। কিন্তু তাঁর জায়গায় খেলতে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বসেন মিচেল মার্শ। এখন চোট থেকে মুক্তি মেলার পর গ্রিনকে কীভাবে একাদশে ফেরানো হবে সেই সিদ্ধান্ত নিতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকদের। শেষ পর্যন্ত গ্রিনকে ফেরানো হচ্ছে টড মার্ফির জায়গায়। হেডিংলিতে বাঁহাতি স্পিনার মার্ফি দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯.৩ ওভারের বেশি বোলিং করেননি। আপাতত ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁকে প্রয়োজনীয় মনে করছেন না নির্বাচকেরা।
গতকাল নিজেদের একাদশ ঘোষণা করেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন জিমি অ্যান্ডারসন। এজবাস্টন ও লর্ডসে তেমন ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেননি ১৮১ টেস্টে ৬৮৮ উইকেটের মালিক এই ফাস্ট বোলার। তবে ওল্ড ট্রাফোর্ডের দুর্দান্ত রেকর্ড তাঁকে আবার দলে ফেরাচ্ছে। ২০০৪ সাল থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১০ টেস্ট খেলে অ্যান্ডারসনের শিকার ৩৭ উইকেট। উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর ফর্ম বিচারে তাঁকে এই টেস্টের দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের মতো এ যাত্রা টিকে গেছেন বেয়ারস্টোও।