ওয়ানডেতে সাকিব, টি-টোয়েন্টিতে সাউদি, টেস্টে কে

0
112
বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন—এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি কে? ক্রিকেট পরিসংখ্যানের খোঁজখবর রাখলে লঙ্কান স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরনের নামটা বলতে খুব বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকার কথা নয়। ৫৩৪ উইকেট নিয়ে মুরালিধরনই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তবে তিনি তো সর্বশেষ খেলেছেন সেই ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে।

অর্থাৎ ১৩ বছর আগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পাকিস্তান পেসার ওয়াসিম আকরাম। তাঁর উইকেট ৫০২টি। তবে তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শেষ ২০০৩ সালের মার্চে। প্রশ্ন উঠতে পারে, বর্তমানে যাঁরা খেলছেন ওয়ানডেতে, তাঁদের মধ্যে শীর্ষ উইকেটশিকারি কে?

বর্তমানে খেলে যাচ্ছেন—এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব আল হাসান। ২৪১ ইনিংসে সাকিবের উইকেট ৩১৭। এরপরের নামটা মিচেল স্টার্কের। সাকিবের চেয়ে অনেক পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ১২১ ইনিংসে স্টার্কের উইকেট ২৩৬। তিন নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। ১৫৯ ইনিংসে ২২১ উইকেট তাঁর। এই তিন বোলারের মধ্যে সাকিবের ওয়ানডে ক্যারিয়ারই সবচেয়ে লম্বা। সাকিবের ওয়ানডে অভিষেক ২০০৬ সালের আগস্টে। সাউদির ২০০৮ সালের জুনে। আর স্টার্কের ২০১০ সালের অক্টোবরে। মধ্যে আরও ১০ জন।

টি–টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাউদি
টি–টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাউদি

ওয়ানডের মতো টেস্টেও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির নাম মুরালিধরন। তাঁর উইকেট ৮০০টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা শেন ওয়ার্নের উইকেট ৭০৮টি। মুরালি সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১০ সালের জুলাইয়ে। আর অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি স্পিনার ওয়ার্ন তো পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন প্রায় দুই বছর।

ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুরালির পাশাপাশি আরও ১০ জন আছেন, যারা সাকিবের চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন। তবে এদের কেউই বর্তমানে সক্রিয় নন। টেস্টে অবশ্য ব্যাপারটা ভিন্ন। সে ক্ষেত্রে ধন্যবাদটা জেমস অ্যান্ডারসনের প্রাপ্য। টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এই ইংলিশ পেসার ৪১ বছর বয়সেও সদর্পে খেলে যাচ্ছেন। তাঁর উইকেট ৬৯০টি। মুরালিকে ছুঁতে এখনো তাঁর প্রয়োজন ১১০ উইকেট। অ্যান্ডারসন কি মুরালিকে ছুঁতে পারবেন?

টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অ্যান্ডারসনের উইকেট ৬৯০টি
টেস্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি অ্যান্ডারসনের উইকেট ৬৯০টি, রয়টার্স

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বয়স খুব বেশি নয়। সে কারণেই বোধ হয় এই সংস্করণ মুরালির হাত থেকে ‘রক্ষা’ পেয়েছে। ২০১০ সালে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলা এই স্পিনার ১২ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৩টি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাউদি। এই পেসারের উইকেট ১৫৭টি। কিছুদিন আগেই প্রথম বোলার হিসেবে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন সাউদি। এখানেও আছে সাকিবের নাম। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার অনেক দিন এই সংস্করণের শীর্ষ উইকেটশিকারিও ছিলেন। ১৪০ উইকেট নিয়ে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তালিকার তিন নম্বরে আছেন ইশ সোধি। ১০৫ ইনিংসে এই লেগ স্পিনারের উইকেট ১৩২টি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.