ওই খাঁচার ভেতরে আজকে আমাদের ঢোকায়নি: ড. ইউনূস

0
56
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জন আদালতে হাজিরা দেন।
 
আদলত থেকে বের হয়ে ড. ইউনূস বলেন, আজকে মনটা খারাপ, বেশি কথা বলব না। তবে একটা বিষয় ভালো লাগলো আজকে ওই খাঁচার ভেতরে আমাদেরকে ঢোকায়নি।
 
তিনি বলেন, মানুষকে কেন পশুর মতো খাঁচায় ভরে রাখবে? এটা নেহাত একটা অপমান করার বিষয়। খাঁচার বিষয়টি আমি বারবার বলতে থাকব, কারণ এটা জাতির প্রতি মস্ত বড় অপমান।
 
বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই খাঁচাগুলো সরিয়ে ফেলা হোক। এর ব্যবহার থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। এটা মানবতার প্রতি অপমান।
 
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
 
এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১২ জুন আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
 
মামলায় ড. ইউনূস ছাড়া অপর আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.