যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো তাঁকে ফোন করেছেন এবং বলেছেন, তিনি পুরস্কারটি তাঁর (ট্রাম্পের) সম্মানেই গ্রহণ করেছেন।
যদিও এর আগে হোয়াইট হাউস ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার না দেওয়ায় নোবেল কমিটির সমালোচনা করেছে।
ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য এবার ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন। এ সপ্তাহে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি–বন্দিবিনিময় চুক্তি ঘোষণা করেছেন। ট্রাম্পের দাবি, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। তাই তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের প্রকৃত দাবিদার।

এরপরও ট্রাম্পকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত না করায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে, তারা শান্তির বদলে রাজনীতিকে গুরুত্ব দেয়।’
স্টিভেন চেউং আরও লেখেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠার এ ধারা বজায় রাখবেন, যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন এবং মানুষের জীবন বাঁচাবেন। তাঁর একটি মানবিক হৃদয় আছে। এমন একজন মানুষ আর কখনো পাওয়া যাবে না। তিনি তাঁর ইচ্ছাশক্তি দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন।’
গতকাল সন্ধ্যায় ওভাল অফিসে সাংবাদিকেরা ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ সময় তিনি সরাসরি নোবেল কমিটির সমালোচনা করেননি। তবে তিনি কয়েকটি যুদ্ধ বন্ধ করেছেন বলে দাবি করেন এবং বলেন, তিনি চাইলে মাচাদো হয়তো তাঁকে পুরস্কারটি দিয়ে দিতেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, তিনি আজ আমাকে ফোন করেছেন এবং বলেছেন, “আমি এ পুরস্কার আপনার সম্মানে গ্রহণ করছি। কারণ, আপনি সত্যিই এর যোগ্য ছিলেন।”’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এটা খুবই আন্তরিক একটি কাজ। আমি তাঁকে বলিনি, তাহলে আমাকে দিয়ে দাও। যদিও আমার মনে হয়, তিনি দিতেন। তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।’
ট্রাম্প গতকাল স্বীকার করেছেন, মূলত ২০২৪ সালের ওপর ভিত্তি করে নোবেল কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান এত বড় যে এরপরও তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল।
রয়টার্স
ওয়াশিংটন