শিরোপা জয়ের মাহেন্দ্রক্ষণটা ঘরের মাঠে এলে কতই না আনন্দের হয় যেকোনো দলের জন্য। ঘরের মাঠে নিজেদের সমর্থকদের সামনে শিরোপা জয় উদ্যাপনের মজাই যে আলাদা! বার্সেলোনার ক্ষেত্রে এবার সেটা হয়নি। চার বছর পর আবার লা লিগার শিরোপা জয় নিশ্চিত করেছে কাতালান ক্লাবটি। কিন্তু গত রাতে সেটা হয়েছে এসপানিওলের মাঠে ম্যাচ জয়ের পর।
নিজেদের বা প্রতিপক্ষের মাঠ, শিরোপা নিশ্চিত করা জয়টি যেখানেই আসুক, উদ্যাপন না করে কি পারা যায়! বার্সেলোনার খেলোয়াড় আর কোচিং দলের সদস্যরাও এসপানিওলের মাঠে শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারেনি এসপানিওলের সমর্থকেরা।
মাঠের মাঝে গোল হয়ে নাচতে থাকা বার্সার খেলোয়াড়ের ধাওয়া করতে মাঠে ঢুকে পড়ে এসপানিওলের সমর্থকেরা। মাঠের এক প্রান্ত দিয়ে এসপানিওলের সমর্থকদের ঢুকতে দেখে দৌড়ে টানেলে ঢুকে পড়ে বার্সার খেলোয়াড়েরা। পরে অবশ্য পুলিশ আর স্কাউট এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জাদুকর জাভিতে যেভাবে লিগ শিরোপা জিতল বার্সেলোনা
ম্যাচ শেষে বার্সেলোনা কোচ জাভি হার্নান্দেজকে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি কথা বলতে হয়েছে এসপানিওল সমর্থকদের ‘ধাওয়া খাওয়া’ নিয়েও। বার্সেলোনা কোচ বিষয়টি নিয়ে বলেছেন, ‘উদ্যাপন স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু আমি বুঝতে পারছি যে আমরা ঘরের মাঠে ছিলাম না। এজন্য আপনি অসম্মানজনক আচরণ করতে পারেন না। আমি জানি এটা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কিন্তু আমি তাদের (বার্সেলোনা খেলোয়াড়) বলেছি যে এখন চলে যাওয়াই ভালো।’
শিরোপা জেতা দল যে মাঠে বসেই উদ্যাপন করুক, এমন ঘটনা সাধারণত ঘটতে দেখা যায় না। তাহলে এসপানিওলের সমর্থকেরা এমন আচরণ কেন করল! হতে পারে এক মৌসুম আগেই লা লিগায় ফেরা এসপানিওল আবার অবনমনের শঙ্কায় আছে বলে এমনিতেই বিরক্ত ছিল দলটির সমর্থকেরা। তার ওপরে গতকাল হেরে যাওয়ার বিষয়টি হজম করতে পারছিল না তারা।
সে যাই হোক, শিরোপা জয়ের আনন্দের রাতে ওসব নিয়ে এত কথা বলতে বয়েই গেছে জাভির! বার্সেলোনা কোচ তাই আবার ফিরে গেলেন শিরোপা জয়ের আনন্দের কথায়, ‘দুর্দান্ত অনুভূতি। দারুণ কাজ করেছি আমরা। এটা শুরু হয়েছিল গত জুলাইয়ে। ১০ মাস পরিশ্রম করেছি, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। ক্লাব আর সমর্থকদের এটা প্রাপ্য।’