এসএসসির কেন্দ্রে ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ, বহিষ্কার ৫ পরীক্ষার্থী

0
175
ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ

মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের মতলবগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ম্যাসেঞ্জার দেখে নকল করার দায়ে পাঁচ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার ভূমি) তাসনিম আক্তার। শনিবার পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময় দুপুর ১২টায় ওমর ফারুক, মশিউর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন নামের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

জানা যায়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনিম আক্তার নকলের খবর পান। তিনি দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষার হলে ১নং কক্ষে গিয়ে পরীক্ষার্থী মাহবী হাসান মুহিনকে চ্যালেঞ্জ করেন। আর তখনই তার কাছ থেকে একটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয় এবং পুরো নকলের বিষয়টি বের হয়ে আসে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যখন তল্লাশি শুরু করেন তখন এই পাঁচজনের একজন তার সঙ্গে থাকা মোবাইলটি ময়লার ঝুঁড়িতে ফেলে দেয়। সেটি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুহুল আমিন উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনজনের কাছে তল্লাশি করে মোবাইল সেট পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে- তল্লাশির সময় তারা কৌশলে জানালা দিয়ে ফোন ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনার পর পর তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ‘পরীক্ষার শুরু থেকে এই পাঁচজন পরীক্ষার্থী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল করছিল। তাদের পাঁচজনের কাছে স্মার্টফোন থাকতো। আর এই পাঁচজনের মধ্যে একটা গ্রুপ ম্যাসেঞ্জার ছিল। বাইরে থেকে তাদেরকে ওই মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে নকল সরবরাহ করা হতো। চারজনের একটা গ্রুপ বাইরে থেকে তাদেরকে নকল সরবরাহ করতো। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

জানা যায়, হলে পরীক্ষার প্রশ্ন দেওয়ার পর পরই এই প্রশ্নের ছবি তুলে তারা বাইরে পাঠিয়ে দিতো। পরে তাদেরকে ম্যাসেঞ্জারে একটা একটা করে উত্তর সরবরাহ করা হতো। এভাবেই তারা পরীক্ষা দিতো।

বহিষ্কার হওয়া চার শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, ইব্রাহিম খলিল, ফারদিন ইসলাম ও মাহবী হাসান মুহিন মতলবগঞ্জ জগবন্ধু বিশ্বনাথ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং অপর এক শিক্ষার্থী মশিউর রহমান তুহিন বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

কেন্দ্র সচিব ও মতলবগঞ্জ জগবন্ধু বিশ্বনাথ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন, তাও সেটা স্মার্টফোন নয়। সে জায়গায় পাঁচজন পরীক্ষার্থী হলে কীভাবে মোবাইল নিয়ে ঢুকলো সেটা আমার জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে- তাদেরকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বাইরে থেকে কোনোভাবে মোবাইল সরবরাহ করা হতো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.