এসএমই ঋণ ৬% সুদে

0
23
এসএমই
প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ এবং ফাউন্ডেশনের নিজস্ব অর্থে গঠিত ‘রিভলভিং তহবিল’ থেকে ২৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাত্র ৬ শতাংশ সুদে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণ দিচ্ছে। সম্প্রতি এ তহবিল থেকে তৃতীয় দফায় ৪৫০ কোটি টাকা দিতে এসএমই ফাউন্ডেশন এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
 
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো– সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।
 
এসএমই ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, একজন উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। তবে মূলধনি যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ পাবেন সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা। করোনা মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রথমে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দ করা হয় ৩০০ কোটি টাকা। এ অর্থ বিতরণের পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী গঠিত ‘রিভলভিং ফান্ড’ থেকেও এসএমই উদ্যোক্তা, ক্লাস্টার, ক্লায়েন্ট গ্রুপ, অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারের সদস্য ও নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ২৯৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।
 
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জামানতবিহীন ঋণ বিতরণের বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে। তবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত কোনো জামানত গ্রহণ করা হবে না। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ পরিশোধের সময়সীমা হবে সর্বোচ্চ ৪ বছর। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৪৮টি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। মোট ঋণের ৩০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে এবং ১০ শতাংশ এসএমই ক্লাস্টারের উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ ভাগ উৎপাদন ও সেবা খাতে এবং বাকি ৫০ শতাংশ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে। আর পুরুষ উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে মোট ঋণের ৫০ ভাগ উৎপাদন খাতে, ২৫ ভাগ সেবা খাতে এবং ২৫ ভাগ ভ্যালুচেইন ও অন্যান্য খাতে বিতরণ করতে হবে। ফাউন্ডেশন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম নিয়মিতভাবে মনিটর করবে। ঋণ বিতরণের পর এসএমই ফাউন্ডেশনের নিজস্ব পদ্ধতি ও লোকবল দ্বারা সরেজমিন পরিদর্শন করে চুক্তি অনুযায়ী এবং সঠিক উদ্যোক্তার অনুকূলে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই ও নিশ্চিত করবে। তবে অনুৎপাদনশীল খাত যেমন– মুদি দোকান, ওষুধ বিক্রেতা, হার্ডওয়্যার বিক্রেতা এবং পরিবেশ দূষণ ঘটায় এমন ব্যবসার অনকূলে এ কর্মসূচির আওতায় ঋণ দেওয়া যাবে না।
 
ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা
ঋণ পেতে অগ্রাধিকারভুক্ত এসএমই সাব-সেক্টর, ক্লাস্টারের উদ্যোক্তা এবং ভ্যালু চেইনের আওতাভুক্ত উদ্যোক্তা হতে হবে। রপ্তানি উপযোগী পণ্য এবং আমদানি বিকল্প পণ্য প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তারা এ তহবিলের ঋণ নিতে পারবেন। আইসিটি ও প্রযুক্তিনির্ভর সৃজনশীল ব্যবসায়ে যুক্ত তরুণ বা নতুন উদ্যোক্তা, যারা এখনও ব্যাংক থেকে ঋণ পাননি, তারাও এ ঋণের জন্য বিবেচিত হবেন। এ ছাড়া পশ্চাৎপদ অঞ্চল, উপজাতীয় অঞ্চল, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত ট্রেডবডি, এসএমই অ্যাসোসিয়েশন, নারী উদ্যোক্তা সংগঠন, নাসিব, উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসহ উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সুপারিশকৃত উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.