এশিয়ার শত বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ২ নারী

0
118
গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী এবং সেঁজুতি সাহা।

গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এশিয়ার শীর্ষ ১০০ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। এই তালিকায় দুই বাংলাদেশি নারীর নাম এসেছে। তারা হলেন- গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী এবং সেঁজুতি সাহা।

‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে রোববার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবার অষ্টমবারের মতো এ তালিকা করা হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে হিমবাহ চক্র এবং কাঠামোগত ভূতত্ত্ব অনুসন্ধান, এমনকি মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের এবার বেছে নেওয়া হয়েছে।

গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি টেকসইতায়র ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় (জলভূমি পরিবেশবিদ্যা) বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডটিমের একজন বোর্ড সদস্য। যেটি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। এমনকি তিনি বাংলাদেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতি সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ওডব্লিওএসডি-এলজাইভার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি বিষয়ে কাজ করছেন।

সেঁজুতি সাহা একজন বাংলাদেশী অণুজীববিজ্ঞানী। যিনি জীববিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আণবিক জিনতত্ত্বের এই গবেষক বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য গবেষণায় আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ) কর্মরত। সেঁজুতি সাহা ও সিএইচআরএফ প্রথমবারের বাংলাদেশের রোগীদের মধ্য থেকে পাওয়া নমুনা থেকে নতুন করোনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম বিন্যাস উন্মোচন করেন।

বাংলাদেশের শিশুদের আক্রান্ত করে এমন কিছু রোগ, যেমন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। তিনি বিশ্বে প্রথম দেখিয়েছেন যে, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শিশুদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিশুদের মেনিনজাইটিস রোগ হতে পারে।

তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল পোলিও ইরেডিকেশন ইনিশিয়েটিভের বোর্ড মেম্বার পদে নিযুক্ত হন।

‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় এবং তাদের গবেষণার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানীরা এ তালিকায় বেশি এসেছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.