এম এন লারমাও বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিলেন: নাহিদ ইসলাম

0
11
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাও বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (২০ জুলাই) রাঙ্গামাটিতে পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। দুপুর সোয়া ১টায় রাঙ্গামাটি পৌঁছে শিল্পকলা একাডেমি থেকে পদযাত্রা শুরু করে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে নানাভাবে বিভাজিত করে রাখা হয়েছিলো, যার বড় শিকার হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা অশান্তি নানা বিভাজন জিইয়ে রেখে অন্য একটি পক্ষ বারবার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা আর এই তৃতীয় পক্ষকে সুবিধা নিতে দেব না। আমাদের মধ্যে সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে, আমরা নিজেরাই সমাধান করব। অন্য কোনো পক্ষকে সুযোগ নিতে দেব না, এ জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নাহিদ আরও বলেন, আমরা বাহাত্তরের যে মুজিববাদী সংবিধানের বিরুদ্ধে বলে আসছি, যে সংবিধানে সকল জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। বাঙালি জাতীয়তাবাদের নামে অবাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বিভেদ তৈরি করে রাখা হয়েছে, ধর্মনিপেরক্ষতার নামে ইসলামের সঙ্গে অন্যধর্মের বিভেদ তৈরি করা হয়েছে। আমরা সব বিভেদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সকল জনগোষ্ঠীকে মর্যাদা দিয়ে একটি সংবিধান রচনা করতে চাই। রাঙ্গামাটির নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বাহাত্তরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিলেন। আমরা চাই, মুজিববাদী সংবিধানকে বাতিল করে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করতে। নতুন একটি চুক্তি আমরা করব, যেখানে আপনার অধিকার, আমার অধিকারও থাকবে। পাহাড়ে যে অশান্তি, যে বিভেদ বছরের পর বছর জিইয়ে রাখা হয়েছে, সেই অশান্তি ও বিভেদকে দূর করতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ্। উপস্থিত ছিলেন নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, জেলা সমন্বয়ক বিপিন জ্যোতি চাকমা, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচঙ্গ্যাসহ নাগরিক পার্টির বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীরা।

সমাবেশ শেষে দ্রুতই সভাস্থল ত্যাগ করেন নাগরিক কমিটির নেতারা। তারা সভাস্থল ত্যাগ করার পূর্বেই ছাত্রদলের একটি মিছিল বনরূপার দিকে আসতে চাইলে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা তাদের ফুলকলির সামনে আটকে দেন। এ সময় সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা এনসিপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.