লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের সমাধান হয়ে গেছে। ফুটবলের আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে আরেকটি প্রশ্ন—কিলিয়ান এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ কী? ফরাসি তারকা পিএসজিকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মৌসুমের পর তিনি আর প্যারিসের ক্লাবটিতে থাকতে চান না। এ কারণে পিএসজিও তাঁকে এবারের দলবদলেই বিক্রি করে দিতে চায়।
মেসিসহ অনেকেই এমবাপ্পেকে রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এমবাপ্পের নিজেরও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যাওয়ার ইচ্ছা। তাঁর মা-ও চাইছেন, ছেলে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ক্লাবটিতে যাক।
এমবাপ্পে–পিএসজি সমীকরণে ২৭ কোটি ইউরো নিয়ে আছে লিভারপুলও
দলবদলের বাজারেও অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন, রিয়াল মাদ্রিদ যেকোনো মূল্যে এমবাপ্পেকে চায়। পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তি হওয়ার আগে এমবাপ্পেকে প্রায় দলে ভিড়িয়ে ফেলেছিল তারা। সেবার না পারলেও তখন এমবাপ্পেকে পরবর্তী সময় নিজেদের করে নেওয়ার আশা ছাড়েনি রিয়াল।
ফুটবলপণ্ডিত থেকে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই মনে করেন, এখন যখন সুযোগ এসেছে, এমবাপ্পেকে এবার দলে না টেনে ছাড়বে না রিয়াল! কিন্তু স্পেনের সংবাদমাধ্যম মার্কার সাংবাদিক হোসে ফেলিক্স দিয়াজ তাঁর এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, এই মুহূর্তে এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তি করা রিয়ালের জন্য ‘অসম্ভব’।
ফেলিক্স দিয়াজ এমনটা কেন লিখেছেন তাঁর প্রতিবেদনে? ২০২২ সালে যে এমবাপ্পেকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল রিয়াল, তাঁকে কেন এখন কেনাটা তাদের জন্য অসম্ভব হবে! রিয়ালের অর্থের অভাবও তো নেই। এ ছাড়া বার্সেলোনার মতো উয়েফার আর্থিক সংগতি নীতি আর লা লিগার বেতনকাঠামো নিয়েও সমস্যা নেই তাদের। তাহলে কী এমন সমস্যা, যেটার কারণে এমবাপ্পেকে আপাতত নিতে পারবে না রিয়াল?
মার্কার প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এ বছর পিএসজি ছাড়তে চান না আসলে এমবাপ্পেই। তাঁর সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদ আছে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। চুক্তির মেয়াদ শেষ করলে মোটা অঙ্কের বোনাস পাওয়ার কথা তাঁর। এমবাপ্পে সেই বোনাস নিয়েই পিএসজি ছাড়তে চান।
অন্যদিকে এমবাপ্পে যদি চুক্তি নবায়ন না-ই করেন, তাহলে এবারের দলবদলেই তাঁকে বিক্রি করে দিতে চায় প্যারিসের ক্লাবটি। কারণ একটাই—এমবাপ্পে ফ্রি এজেন্ট (মুক্ত খেলোয়াড়) হয়ে গেলে ট্রান্সফার ফি পাবে না তারা। তাই মুক্ত খেলোয়াড় হওয়ার আগেই এমবাপ্পেকে বিক্রি করতে চায় পিএসজি। সব মিলিয়ে এবারের দলবদলে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ আসলে কী, সেটা এখনই বলা কঠিন।